রাজধানীর মিরপুরে জোড়া খুন
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: রাজধানীর মিরপুরে জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার বিকাল ৪ টা নাগাদ এক বৃদ্ধা ও তার গৃহকর্মীর খুন হওয়ার ঘটনাটি প্রকাশ পেয়েছে বলে জানা গেছে। প্রাথমিক ভাবে লাশের সুরত হাল দেখে ধারণা করা হচ্ছে যে ভিকটিমদের শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।
মিরপুেরর ২ নং সেকশন এলাকার ‘এ’ ব্লকের ২ নং রোডের ১১ নং ভবনের ৪ তলার বাসিন্দা রহিমা খাতুন (৬০) ও তার গৃহকর্মী সুমিকে খুন করা হয়েছে। খুনের এ ঘটনায় ১জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বলে পুলিশের সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানানো হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে রহিমা খাতুনের পালিত পুত্র সোহেল চিৎকার করতে করতে ভবনের উপর থেকে নেমে এসে খুনের ঘটনাটি এলাকাবাসীর কাছে জানায়। পরে পুলিশের (সিআইডি) ক্রাইম সিন ইউনিট এসে ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়।
এবিষয়ে মিরপুর মডেল থানায় পুলিশের পক্ষ থেকে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোহেল কে আটক করা হয়েছে।
পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়। সাংবাদিকদের তিনি জানান, খুনের ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। লাশের গলায় থাকা আঘাতের চিহ্ন দেখে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে যে ভিকটিমদের গলা টিপে কিংবা শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। আপনাদের মতো আমাদেরও মনে অনেক প্রশ্ন আছে। অধিকতর তদন্ত সাপেক্ষে শীঘ্রই সকল প্রশ্নের জবাব আমরা উদঘাটন করতে সক্ষম হবো বলে আশা করছি।
তিনি আরও যোগ করে বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি যে এই বাসায় বিভিন্ন ধরনের লোকজনের যাতায়াত ছিল। সুতরাং খুনের ঘটনাটি কি আর্থিক লেনদেনজনিত নাকি ভিন্ন কোন কারণে ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বাসাটিতে কোন বেআইনি কার্যক্রম পরিচালিত হতো কিনা?- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তদন্ত সম্পন্ন হলেই সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে।
এদিকে ঘটনার আগে সেইদিনই নিহত রহিমা খাতুনের একমাত্র মেয়ে রাশেদা বেগম নারায়ণগঞ্জ থেকে তাদের মিরপুরের বাসায় এসেছে বলে জানা গেছে।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ডিসেম্বর ০৪,২০১৯)