মালদ্বীপকে ৬ রানে গুটিয়ে বাংলাদেশের বিশাল জয়
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: এসএ গেমসে মেয়েদের ক্রিকেটে এক ম্যাচ হাতে রেখে ফাইনাল নিশ্চিত করা বাংলাদেশ মালদ্বীপকে পাত্তাই দিলো না। পোখারায় আগে ব্যাট করতে নেমে নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছে তারা। ২৫৬ রানের লক্ষ্য দেওয়ার পর মালদ্বীপকে ৬ রানে অলআউট করেছে বাংলাদেশ, জিতেছে ২৪৯ রানে।
বৃহস্পতিবার টস জিতে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। নিগার সুলতানা ও ফারজানা হকের সেঞ্চুরিতে ২ উইকেটে ২৫৫ রান করে তারা। এরপর রিতু মনি ও সালমা খাতুনের বলে ১২.১ ওভারে মাত্র ৬ রানে অলআউট হয় মালদ্বীপ।
একই দিন কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরিয়ানকে খুঁজে পেয়েছে বাংলাদেশ। তাও একজন নয়, দুজন। নিগার সুলতানা ও ফারজানা হকের সেঞ্চুরিতে প্রথমবার দলীয় স্কোর দুইশ ছাড়িয়েছে তারা। ২ উইকেটে তাদের ২৫৫ রান টি-টোয়েন্টির সর্বোচ্চ স্কোরের তালিকায় তিন নম্বরে। তাদের ওপরে কেবল উগান্ডা ও তাঞ্জানিয়া। গত অক্টোবরে লাহোরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭ উইকেটে ১৫২ রান ছিল এতদিন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারে দুই ওপেনারকে হারায় বাংলাদেশ। সুমাইয়া আব্দুলের কাছে প্রথম বলে রান আউট হন শামীমা সুলতানা (৫)। শেষ বলে শাম্মা আলী বোল্ড করেন সানজিদা ইসলামকে (৭)। এরপর নিগার ও ফারজানা চড়াও হন মালদ্বীপ বোলারদের ওপর। তাদের থামাতে পারেনি কেউ।
তৃতীয় উইকেটে ২৩৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন নিগার ও ফারজানা। তৃতীয় উইকেটে তো বটেই, যে কোনও উইকেটে এটি বিশ্ব টি-টোয়েন্টির সর্বোচ্চ জুটি। ১৮তম ওভারের পঞ্চম বলে বাউন্ডারিতে প্রথম সেঞ্চুরি করেন নিগার, ৫৯ বল খেলে। শেষ ওভারের চতুর্থ বলে চার মেরে শতকের দেখা পান ফারজানাও। তিনি খেলেন ৫১ বল। এক ইনিংসে জোড়া সেঞ্চুরিয়ানের দেখা এর আগে পাওয়া গিয়েছিল একবারই, গত জুনে মালির বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন উগান্ডার প্রসকোভিয়া আলোকা ও রিতা মুসামালি।
৬৫ বলে ১৪ চার ও ৩ ছয়ে ১১৩ রানে অপরাজিত ছিলেন নিগার। মাত্র ৫৩ বল খেলে ১১০ রানে খেলছিলেন ফারজানা, তার ইনিংসে ছিল ২০টি বাউন্ডারি।
বিশাল লক্ষ্যে নেমে রিতুর প্রথম ওভারে রান আউট হয় মালদ্বীপের দুই ব্যাটসম্যান। বাংলাদেশি বোলার তার পরের ওভারে ফেরান কিনানাথ ইসমাইল ও হামজা নিয়াজকে। সালমা পরের ওভারে আরও দুটি উইকেট নিয়ে মালদ্বীপকে অসহায় বানান। পঞ্চম ওভারে মাত্র ৩ রানে মালদ্বীপের সপ্তম ব্যাটসম্যানকে ফেরান রিতু।
১৩তম ওভারের প্রথম বলে মালদ্বীপের ইনিংস সেরা ব্যাটার শাম্মাকে (২) নিজের তৃতীয় শিকার বানিয়ে জয় নিশ্চিত করেন সালমা। ৩.১ ওভারে ২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। সমান উইকেট নেন রিতু, ৪ ওভারে ১ রান দিয়ে।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ডিসেম্বর ০৫,২০১৯)