সাধারণ সম্পাদক পদে আগ্রহী নন কাদের
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: আগামী জাতীয় সম্মেলনে সভাপতি পদ ছাড়া আওয়ামী লীগের সব পদেই পরিবর্তন আসতে পারে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য ব্যক্তিগতভাবে তিনি আগ্রহী নন বলেও জানান।
শুক্রবার আওয়ামী লীগের দপ্তর উপ-কমিটির সভায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আওয়ামী লীগের আসন্ন জাতীয় সম্মেলনে দুই শীর্ষ পদে (সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক) কোনো পরিবর্তন আসছে কি-না জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, একটা পদে কোনো পরিবর্তন আসবে না। সেটা হচ্ছে আমাদের পার্টির সভাপতি। আমাদের সভাপতি দেশরত্ন শেখ হাসিনা। তিনি ছাড়া আমরা কেউই দলের জন্য অপরিহার্য না। তিনি এখনও আমাদের জন্য প্রাসঙ্গিক অপরিহার্য। তৃণমূল পর্যন্ত সবাই তার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।
‘এর পরের পদটা কাউন্সিলরদের মাইন্ড সেট করে দেয়। সেটাও তিনি (সভাপতি) ভালো করে জানেন। আর দল কীভাবে চলবে, কাকে দিয়ে চলবে, সেটাও তিনি জানেন। তিনি যেটা ভালো মনে করবেন সেটাই করবেন। পরিবর্তন করলেও তার ইচ্ছা, তিনি ডিসাইড করবেন এ ব্যাপারে কারো কোনো কথা থাকবে না। পরিবর্তন হলেও আমরা স্বাগত জানাবো, আর তিনি যদি আমাকে রাখেন সেটাও তার ইচ্ছা। পার্সোনালি আই এম নট ইন্টারেস্টেড’, বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করার অচেষ্টা করছে। নৈরাজ্য এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তারা ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করতে চায়। এসব করে নেতারা সফল হবে না। কারণ আওয়ামী লীগ পূর্বের যেকোনো সময়ের চেয়ে অত্যন্ত শক্তিশালী সুসংগঠিত এবং সুশৃঙ্খল একটি দল। নৈরাজ্য সৃষ্টি করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ তাদের দাঁতভাঙা জবাব দেবে। জনগণের জানমাল ক্ষতি করার চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও তার জবাব দেবে।
তিনি বলেন, বিএনপি বারবার আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বিভিন্ন ইস্যুতে। কিন্তু জনগণ তাদের ডাকে সাড়া দেয়নি। তারা বিভিন্নভাবে বিভিন্ন মহলকে উসকানি দিচ্ছে- দ্রব্যমূল্য হঠাৎ করে ঊর্ধ্বগতিতে তাদের ইন্ধন রয়েছে এবং উসকানি রয়েছে। আমরা তাদের অনেককেই চিহ্নিত করেছি। অবশ্যই তাদের শাস্তি হবে।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ডিসেম্বর ০৭,২০১৯)