পুঁজিবাজারে ব্যাপক দরপতন
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বড়ধরনের দরপতন হয়েছে। আগের দিনের মতো সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ব্যাপক দরপতন দিয়ে শেষ হয়েছে লেনদেন। এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক ৬২ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৫৩৩ পয়েন্টে নেমে আসে। এটি আগের ৪০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে ২০১৬ সালের ৩১ আগস্ট ডিএসইর প্রধান সূচক ৪ হাজার ৫৩৩ পয়েন্টে নেমেছিল।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, সোমবার লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ে। এতে পুঁজিবাজারের ঊর্ধ্বমুখিতার আভাস দেখা যায়। লেনদেনের প্রথম ১০ মিনিটে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ২২ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
এর পরেই দেখা দেয় পতন প্রবণতা। লেনদেনে অংশ নেয়া একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমতে থাকে। ফলে আধাঘণ্টার মধ্যেই ডিএসইর প্রধান সূচক প্রায় ৩০ পয়েন্ট পড়ে যায়।
এ পরিস্থিতিতে হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে যায় ডিএসইর বাজার আপডেট। ১০টা ৫৬ মিনিট থেকে বেলা ১২টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত ডিএসই থেকে কোনো ধরনের বাজার আপডেট দেয়া হয়নি। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর বেলা ১২টা ২০ মিনিটে যখন ডিএসই বাজার আপডেট দেয় ততক্ষণে প্রধান সূচক ৬০ পয়েন্ট কমে যায়।
পতনের এ প্রবণতা লেনদেনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। ফলে দিনভর ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া মাত্র ৬৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৩৩টির। আর ৫৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টকএক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই কমেছে ১৫১ পয়েন্ট।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, মূলত দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে একটি শঙ্কা থেকেই পুঁজিবাজারে দর পতন হচ্ছে। বিনিয়োগকারীদের বাজারের প্রতি অনাস্থা তৈরি হয়েছে।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ডিসেম্বর ০৯,২০১৯)