দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: দেশের গ্রাম পুলিশকে সরকারি চাকরিবিধির ১৯ এবং ২০ গ্রেডে (পে স্কেল) উন্নীত করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

এই আদেশ ২০১১ সালের জুন মাস থেকে কার্যকর করার জন্য বলা হয়েছে। ২০২০ সালের মার্চের মধ্যে গ্রেডে উন্নীত করার বিষয়টি কার্যকর করে প্রতিবেদন দিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

রিটকারী আইনজীবী হুমায়ুন কবির পল্লব সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর আদালত গ্রাম পুলিশকে সরকারি চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর পদমর্যাদা দিতে এবং সে অনুযায়ী জাতীয় বেতন স্কেলে অন্তর্ভুক্ত করে তা প্রদান করতে নির্দেশ দেন।

সেদিন রিটকারী আইনজীবী হুমায়ুন কবির পল্লব জানান, এই আদেশের ফলে ৪৭ হাজার গ্রাম পুলিশের ভাগ্য খুলতে যাচ্ছে।

এর আগে ২০১৭ সালের ৩ ডিসেম্বর গ্রাম পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের ৪র্থ শ্রেণির সরকারি কর্মচারীদের স্কেলের সমপরিমাণ বেতন কেন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।

তার আগে ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর ঢাকার ধামরাইয়ের টুপিরবাড়ির হাটকুশারা এলাকার বাসিন্দা গ্রাম পুলিশ লাল মিয়াসহ ৫৫ জন গ্রাম পুলিশ এ রিট দায়ের করেন। বর্তমানে প্রায় ৪৭ হাজার গ্রাম পুলিশের একজন দফাদার বেতন পান তিন হাজার চারশ' এবং মহালদার পান তিন হাজার টাকা।

আইনজীবী হুমায়ন কবির বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকে এ বাহিনী বিভিন্ন আইনের অধীনে কাজ করে আসছে। সর্বশেষ স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ সালে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ আইনের অধীনে ২০১৫ সালে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) গ্রাম পুলিশ বাহিনীর গঠন, প্রশিক্ষণ, শৃঙ্খলা ও চাকরির শর্তাবলী সম্পর্কিত বিধিমালা তৈরি করা হয়।

কিন্তু এ বিধিতে তাদের কোনো শ্রেণি নির্ধারণ করা হয়নি। এক দাবির প্রেক্ষিতে ২০০৮ সালের স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় গ্রাম পুলিশকে ৪র্থ শ্রেণির স্কেল নির্ধারণে অর্থ বিভাগকে চিঠি দেয়। কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত না নেয়ায় তারা হাইকোর্টে রিট করেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ডিসেম্বর ১৭,২০১৯)