শরীয়তপুর প্রতিনিধি: শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে ২১ ও ২২ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয়েছে পদ্মাসেতুর ১৯তম স্প্যান। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে স্প্যানটি বসানো হয়। এর ফলে সেতুর দুই হাজার ৮৫০ মিটার দৃশ্যমান হলো। এটি নিয়ে এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে পদ্মাসেতুতে বসানো হলো চারটি স্প্যান। চলতি মাসে আরও দুটি স্প্যান বসানো হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

পদ্মাসেতুর সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবীর জানান, বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাওয়ার কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড-১ থেকে ২১-২২ নম্বর পিলারের উদ্দেশে তিয়ান-ই ক্রেনে করে রওনা হয় স্প্যান। ধূসর রঙের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের স্প্যানটির ওজন তিন হাজার ১৪০ টন। নদীতে কিছুটা কুয়াশা থাকায় অনেকটা ধীরগতিতে প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় বেলা পৌনে ১১টার দিকে স্প্যান বহনকারী ক্রেনটি নির্ধারিত স্থানে পৌঁছে। দুই পিলারের মাঝমাঝি অবস্থানে ক্রেনটি নোঙর করতে দুই ঘণ্টারও বেশি সময় লাগে। দুপুর দেড়টার দিকে স্প্যানটি পিলারের ওপর বসানো সম্ভব হয়।
পদ্মাসেতু

হুমায়ুন কবীর জানান, পদ্মা সেতুর কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। গত এক মাসের মধ্যে চারটি স্প্যান স্থাপন করা হয়েছে। চলতি মাসে আরও দুটি স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

উল্লেখ্য, ৪২টি পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যানের সমন্বয়ে তৈরি হবে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। আগামী জুনের মধ্যে অবশিষ্ট ২২টি স্প্যান উত্তোলনের কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে কাজ করছে সেতু বিভাগ।

জানা গেছে, সেতুর চ্যালেঞ্জিং কাজ সব শেষ। দেশে আসা ৩৩টি স্প্যানের মধ্যে ১৯টি বসানো হয়েছে। প্রস্তুত আছে তিনটি ও বাকি আছে ১১টি স্প্যান। গত মাসে মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুটি স্প্যান বসানো হয়েছিল। ডিসেম্বর মাসেও এক সপ্তাহের ব্যবধানে সেতুর দুটি স্প্যান বসানো হলো। সেতুর রোডওয়ে স্ল্যাব ও রেলওয়ে স্ল্যাবসহ অন্যান্য কাজও সিডিউল অনুযায়ী চলছে।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দ্বিতল সেতুটি কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড মূল সেতু নির্মাণের কাজ করছে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ডিসেম্বর ১৮,২০১৯)