শাহজাদের 'দ্রুততম' ফিফটিতে কুমিল্লাকে ১৮২ রানের লক্ষ্য দিল রংপুর
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: শুরুতে ঝড় তুলেছিলেন মোহাম্মদ শাহজাদ। তাতে ৮ ওভারেই ৮৬ রান তুলে ফেলেছিল রংপুর রেঞ্জার্স। ফলে বিশাল সংগ্রহের আভাস দিয়েছিল তারা। তবে মাঝপথে নিয়মিত উইকেট হারালে ততটা সম্ভব হয়নি। কিন্তু পুঁজিটা একেবারে মন্দও হয়নি। শাহজাদের বড় ও মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যানদের ছোট ছোট স্কোরে ১৮১ রান সংগ্রহ করেছে রংপুর।
বুধবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নেন রংপুর অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী। তার সিদ্ধান্তকে যৌক্তিক প্রমাণ করে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ ও নাঈম শেখ। দারুণ শুরুর পর দলীয় ৪৯ রানে রানআউটে কাটা পড়েন নাঈম।
তবে রয়ে যান শাহজাদ। কুমিল্লা বোলারদের ওপর রীতিমতো তোপ দাগান তিনি। পথিমধ্যে মাত্র ২১ বলে ফিফটি তুলে নেন এ হার্ডহিটার। এবারের বিপিএলে এটি দ্বিতীয় দ্রুততম ফিফটি। প্রথমটি খুলনা টাইগার্সের রহমানউল্লাহ গুরবাজের। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে মাত্র ১৮ বলে হাফসেঞ্চুরি করেন তিনি।
অবশ্য ফিফটির পর বেশিক্ষণ শাহজাদ ঝড় চলেনি। সানজামুল ইসলামের শিকার হয়ে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে ২৭ বলে ৭ চার ও ৪ ছক্কায় ৬১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন রংপুরের আফগান রিক্রুট। সেই রেশ না কাটতেই রানআউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন আল-আমিন। এতে রানের চাকা স্লো হয়ে যায় তাদের।
পরে মোহাম্মদ নবীকে নিয়ে খেলা ধরার চেষ্টা করেন টম অ্যাবল। তবে রানের গতি একটু বাড়াতে গিয়ে ২৫ বলে ২৫ রান করে সৌম্য সরকারের বলে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। সঙ্গী হারিয়ে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি নবী। খানিক বাদে মুজিব-উর রহমানের বলে ২৬ রান করে ফেরত আসেন তিনি।
তাতে চাপে পড়ে রংপুর। সেই চাপ কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেন লুইস গ্রেগরি। তবে অতি আক্রমণাত্মক হয়ে খেলতে গিয়ে আল-আমিনের বলির পাঁঠা হন তিনি। বিদায় নেয়ার আগে ১২ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২১ রানের ক্যামিও খেলেন এ ব্যাটার। পরক্ষণেই মুজিবের বলে প্লেড অন হন জহুরুল ইসলাম।
এতদসত্ত্বেও শুরুটা শুভ হওয়ায় রানের গতি খুব একটা কমেনি রংপুরের। অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে রানআউটে ফিনিশ হন নাদিফ চৌধুরী। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৮১ রান করে তারা। কুমিল্লার হয়ে মুজিব-উর রহমান নেন সর্বোচ্চ ২ উইকেট।
এ ম্যাচে একাদশে দুটি পরিবর্তন এনেছে রংপুর। সুযোগ পেয়েছেন মনিরুল ইসলাম মুগ্ধ ও আল আমিন জুনিয়র। অভিষেক হচ্ছে পেসার মুগ্ধর। তবে অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে মাঠে নেমেছে কুমিল্লা।
বিপিএলের এবারের আসরে এর আগে একবার মুখোমুখি হয় রংপুর- কুমিল্লা। সেই ম্যাচে ১০৫ রানের বিশাল ব্যবধানে রংপুরকে হারায় কুমিল্লা। তাই রংপুরের সামনে এটি প্রতিশোধের ম্যাচ।
কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স একাদশ: ভানুকা রাজাপাকশে, ইয়াসির আলি চৌধুরী, সৌম্য সরকার, ডেভিড মালান, সাব্বির রহমান, দাসুন শানাকা (অধিনায়ক), মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন (উইকেটরক্ষক), আবু হায়দার রনি, সানজামুল ইসলাম, মুজিব-উর-রহমান ও আল -আমিন হোসেন।
রংপুর রেঞ্জার্স একাদশ: মোহাম্মদ শেহজাদ (উইকেটরক্ষক), নাঈম শেখ, টম অ্যাবল, জহুরুল ইসলাম অমি, মোহাম্মদ নবি (অধিনায়ক), লুইস গ্রেগরি, আল -আমিন জুনিয়র, নাদিফ চৌধুরী, আরাফাত সানি, মনিরুল ইসলাম মুগ্ধ ও মোস্তাফিজুর রহমান।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ডিসেম্বর ১৮,২০১৯)