দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: পাকিস্তানের কিংবদন্তি ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদি বলেছেন, দানিশ কানেরিয়ার সঙ্গে আমি দীর্ঘদিন খেলেছি। তার সঙ্গে আমি অনেক মিশেছিও। তবে সেই মেলামেশার মধ্যে এমন কোনও কথা কখনও শুনতে পাইনি এমনকি জানতেও পারিনি।

সম্প্রতি পাকিস্তানের কিংবদন্তি ক্রিকেটার শোয়েব আখতার বলেছেন, দানিশ কানেরিয়া হিন্দু হওয়ায় জাতীয় দলে যথাযথ সুযোগ পাননি।

শোয়েব আখতারের এই বিস্ফোরক মন্তব্যের পর দানিশ কানেরিয়া পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম পিটিভি স্পোর্টসকে বলেছেন, শোয়েব সত্যি বলেছেন। আমি হিন্দু হওয়ায় পাকিস্তান ক্রিকেট দলের যেসব সদস্যরা আমার সঙ্গে কথা বলতেন না তাদের নাম জানাব। এতদিন মুখ খোলার মতো সাহস পাইনি। কিন্তু এবার বলব।

দানিশ কানেরিয়ার এমন অভিযোগ অস্বীকার করে পাকিস্তানের কিংবদন্তি ক্রিকেটার ইনজামাম-উল-হক বলেছেন, অমুসলিম বলে যে দানিশ কানেরিয়ার সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হয়েছে বা তাকে যথাযথ সুযোগ দেয়া হয়নি এমন কোনো বিষয় ছিল না। আমার অধীনেই দানিশ কানেরিয়া সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছে। আমরা (পাকিস্তানিরা) ছোট্ট হৃদয়ের মানুষ নই যে অমুসলিম বলে তার সঙ্গে খারাপ কিছু করব।

ইউটিউব চ্যানেলে পাকিস্তানের সাবেক এ অধিনায়ক আরও বলেন, যখন আমরা শারজায় সফর করতাম, ভারতীয় ও পাকিস্তানি খেলোয়াড়রা একই হোটেলে থাকত এবং আমি প্রায়ই খেলোয়াড়দের রুমে গিয়ে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মজা করতাম এবং একসঙ্গে খেতাম।

ইনজামাম আরও বলেন, মোশতাক আহমেদ শৈশবকাল থেকেই আমার খুব ভালো বন্ধু ছিলেন। কিন্তু আমি দানিশ কানেরিয়াকে দলে বাছাইয়ে বেশি অগ্রাধিকার দিয়েছিলাম কারণ সে পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ এবং মুশতাককে আমার অধিনায়কত্ব থেকে বাদ দেয়া হয়েছিল। শুধু তাই নয়, খেলোয়াড়দের কেবল নামাজ দিয়েই মূল্যায়ন করা হয়নি। তাদের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতেই দলে সুযোগ দেয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত,পাকিস্তানের হয়ে ৬১টি টেস্ট ও ১৮টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে ২৭৬ উইকেট শিকার করেন দানিশ কানেরিয়া। তবে ২০০৯ সালে ডারহামে এসেক্সের হয়ে কাউন্টি ক্রিকেটে স্পট ফিক্সিংয়ে অভিযুক্ত হন কানেরিয়া। দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আজীবন নিষেধাজ্ঞা দেয় ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ডিসেম্বর ২৮,২০১৯)