দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: প্রবল ঠাণ্ডায় কাঁপছে ভারতের রাজধানী দিল্লি। সোমবার সেখানকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন ২.৬ ডিগ্রি। ১১৯ বছরের ইতিহাসে সোমবার ছিল দিল্লির শীতলতল দিন।

এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে রাস্তা থেকে ছিটকে একটি যাত্রীবাহী গাড়ি খালে পড়ে যাওয়ার ঘটনায় দুই শিশুসহ নিহত হয়েছেন ছয়জন।

ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় ৫৩০টি বিমান ছাড়ার সময় পিছিয়ে যায়। দিল্লি ঢোকার আগে ১৬টি বিমান অন্য দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া বাতিল হয়ে যায় আরো চারটি বিমান। বিলম্বে ছাড়ে আরো ৩০টি ট্রেনও।

প্রচণ্ড ঠাণ্ডার কারণে মঙ্গল ও বুধবার নয়ডা এবং গ্রেটার নয়ডার সব সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছুটি দেওয়া হয়েছে।

গ্রেটার নয়ডায় কুয়াশার জেরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে প্রাণ হারান দুই শিশু-সহ ছ’জন। পুলিশ জানিয়েছে, রোববার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ একটি গাড়ি পিছলে খালে পড়ে যায়। এতে দুই শিশুসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো পাঁচজন। গাড়িটিতে মোট ১১ জন আরোহী ছিলেন।

সোমবার পাঞ্জাবের ফরিদকোটও ছিল শীতলতম দিন। এখানকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ০.৭ ডিগ্রি। স্বাভাবিকের তুলনায় ৬ গুণ কম। সর্বনিম্ন ১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রোহতক ছিল হরিয়ানার শীতলতম অঞ্চল। মরসুমের শীতলতম রাত কাটিয়েছে কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরের বাসিন্দারাও। ঘন কুয়াশার কারণে শ্রীনগর বিমানবন্দর থেকে সোমবার সব বিমান বাতিল ঘোষণা করা হয়েছিলো।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ডিসেম্বর ৩১,২০১৯)