ডিএসইতে আকারভিত্তিক তিনটি নতুন সূচক চালুর উদ্যোগ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এর কৌশলগত বিনিয়োগকারী, শেনঝেন ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের সমন্বয়ে চীনের কনসোর্টিয়ামের ব্যসায়িক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার অংশ হিসেবে প্রাথমিকভাবে ডিএসইতে আকারভিত্তিক তিনটি (বৃহৎ, মধ্যম ও স্বল্প মূলধনী কোম্পানির সমন্বয়ে) নতুন সূচক চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
শেনঝেন স্টক এক্সচেঞ্জের সাবসিডিয়ারি কোম্পানি শেনঝেন সিকিউরিটিজ ইনফরমেশন কোম্পানি লিঃ ও ডিএসই যৌথভাবে এই সূচকটির ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট এর কাজ করেছে। বিনিয়োগকারীরা যাতে বৃহৎ, মধ্যম ও স্বল্প মূলধনী কোম্পানিগুলোর মূল্যের হ্রাস বৃদ্ধি এক নজরে বুঝতে পারেন সেজন্য এই সূচক চালু করা হবে। এছাড়াও এর ফলে ডিএসই’র সূচকের বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ডিং হবে এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীগন বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে আরও বেশি আগ্রহী হবে।
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৯ তারিখে বৃহৎ বাজার মূলধনের কোম্পানিগুলোকে নিয়ে ঈঘও-উঝঊ ঝবষবপঃ ওহফবী (“ঈউঝঊঞ”) এর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। ডিএসই’র শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে সূচকটি উদ্বোধন করেন ডিএসই’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল হাশেম। এ সময় তিনি বলেন, ডিএসই’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল হাশেম বলেন, ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইনের বিধান অনুযায়ী ডিএসই শেনঝেন স্টক এক্সচেঞ্জ এবং সাংহাই স্টক
এক্সচেঞ্জের কনসোর্টিয়ামের সাথে একটি চুক্তি করেছে। এই কৌশলগত অংশীদারিত্বের আওতায় বাজারে অর্থনীতির উচ্চমানের প্রবৃদ্ধি জন্য প্রযুক্তি, বাজারের উন্নয়ন এবং পণ্যের বিকাশের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে ডিএসই দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতার পরিকল্পনা করেছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এবং শেনঝেন স্টক এক্সচেঞ্জের মধ্যে পারষ্পরিক সহযোগিতার আওতায় প্রাথমিকভাবে ডিএসই’র জন্য নতুন সূচক চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। উভয় পক্ষই ডিএসই’র জন্য নতুন সূচকের জন্য সক্রিয়ভাবে ডিজাইন, ডেভেলপ, চালু, প্রচার এবং সহ- ব্র্যান্ডিংয়ে সম্মত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই সহযোগিতামূলক পদক্ষেপটি আমাদের কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের সাথে বিশাল এক পদক্ষেপ। আমরা এক সাথে যে অগ্রগতি করেছি তা লক্ষনীয়, যা আমাদের দুই পক্ষের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করেছে। ডিএসই’র সূচক উন্নয়নের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন তাদের মধ্যে একটি। এই কৌশলগত অংশীদারিত্ব সত্যই ডিএসই এবং কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন এবং আরও ভাল সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেয়।
এছাড়াও কৌশলগত বিনিয়োগকারীর মনোনীত পরিচালক শিয়ে ওয়েনহাই এবং শেনঝেন সিকিউরিটিজ ইনফরমেশন কোম্পানি লিঃ জেনারেল ভাইস ম্যানেজার শিং জিং পিং উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে স্বাগত বক্তব্যে ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ইনচার্জ) আবদুল মতিন পাটওয়ারী, এফসিএমএ, বলেন ডিএসই ও এর কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কারিগরী সহযোগিতার আওতায় ডিএসই এবং শেনঝেন সিকিউরিটিজ ইনফরমেশন কোম্পানি লিঃ ঘোষণা করছে যে তিনটি নতুন সূচক সিএনআই-ডিএসই সিলেক্ট ইনডেক্স,
সিএনআই-ডিএসই মিডক্যাপ ইনডেক্স এবং সিএনআই-ডিএসই স্মল ক্যাপ ইনডেক্স চালু করা হবে। ডিএসই এবং এসএসআইসি আনুষ্ঠানিকভাবে সিএনআই-ডিএসই সিলেক্ট ইনডেক্স চালু করতে যাচ্ছে যা বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের বিনিয়োগযোগ্য বৃহৎ মূলধনের কোম্পানিগুলোর বৃহত্তম অংশের প্রতিনিধিত্ব করবে। সিএনআই- ডিএসই সিলেক্স ইনডেক্স ডিএসই’র ৪০টি বৃহৎ এবং সবচেয়ে লিকুইড স্টক রয়েছে। মৌলভিত্তি এবং তারল্যতার পাশাপাশি বাজার মূলধনকে স্ক্রিনিংয়ের জন্য বিবেচনা করা হয়। সূচকের মূল্য গণনার জন্য ফ্রি ফ্লোট মূলধন ব্যবহৃত হয়।
কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের মূল সংযোজন প্রস্তাব এবং ডিএসই’র সূচকগুলোর উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ভবিষ্যতের ব্যবসায়ের প্রয়োজনীয়তা মোকাবেলায় আমরা আমাদের প্রথম মাইলফলক অর্জন করতে যাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, ডিএসই এবং এসএসআইসি ইতিমধ্যে পুরনো তথ্য সংকলন তথ্য প্রচার এবং বর্তমান সূচক পটভূমি জ্ঞান এবং তথ্য বিনিময়ের কাজ সম্পন্ন করেছে। এই তথ্য বিশ্লেষণের ভিত্তিতে ডিএসই বাংলাদেশ সাইজ বেইজড ইনডেক্সগুলোর মেথডোলজি ডিজাইন ও ডেভেলপ করা হয়েছে যার মাধ্যমে এটি রক্ষনাবেক্ষণ করা হবে। আর এই মেথডোলজি অনুযায়ী এই সূচকটি প্রবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো ডিএসই সিস্টেমে সন্নিবেশিত করা হবে।
০১ জানুয়ারি, ২০২০ তারিখ থেকে সূচকটি অফিসিয়ালি ডিএসই’র ওয়েবসাইটে সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে। এই সূচকটিতে কোম্পানি অন্তর্ভূক্তির ক্ষেত্রে বাজার মূলধন (শীর্ষ স্থানীয়), মৌলভিত্তি (মুনাফা) ও তারল্য (লেনদেন, ট্রেডিং ডে) ইত্যাদি বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। সূচকটিতে বর্তমানে ৪০টি কোম্পানি রয়েছে। সূচকটির ভিত্তি তারিখ ধরা হয়েছে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ এবং ভিত্তি ভ্যালু হচ্ছে ১০০০ পয়েন্ট। সূচকটি অর্ধ বার্ষিকী অর্থাৎ প্রতি ৬ মাসে পূর্ণমূল্যায়ন করা হবে।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ডিসেম্বর ৩১,২০১৯)