দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: ১৯৯ রানে আটকে ছিলেন প্রায় মিনিট বিশেক। এক রানের অপেক্ষা যেন শেষ হচ্ছিল না আর। অবশেষে এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের অফ স্টাম্পের বলটা কাভারের দিকে খেলতে চেয়েছিলেন। যদিও ঠিকমতো খেলতে পারেননি। ব্যাটের কানায় লেগে কিপারের সামনে দিয়ে হয়ে যায় চার।

রান যেভাবেই আসুক না কেন, মার্নাস লাবুশেনের সেটা নিয়ে ভাবতে বয়েই গেছে! দৌড়ে পেরিয়ে গেলেন নন-স্ট্রাইকার প্রান্ত। প্রথমে ব্যাটটা যেন এক হাতে ছুড়ে মারলেন বাতাসে। ততক্ষণে শুরু হয়ে গেছে দর্শকদের করতালি। লাবুশেন এক হাতে ব্যাট, অন্য হাতে হেলমেট উঁচিয়ে ধরে দর্শক অভিবাদনের জবাব দিলেন। টিভি ক্যামেরা খুঁজে নিল সিডনির ভিআইপি বক্সে থাকা তার বাবা-মাকেও।

সিডনি টেস্টের প্রথম দিনেই তিনি পেয়ে গিয়েছিলেন সেঞ্চুরি। দিন শেষে অপরাজিত ছিলেন ১৩০ রানে। আজ দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে সেটিকে ডাবলে রূপান্তর করেছেন লাবুশেন। তার ১৪ টেস্টের ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি এটিই।

ডাবল ছোঁয়ার পর অবশ্য আর বেশিক্ষণ টেকেননি। নিউজিল্যান্ডের লেগ স্পিনার টড অ্যাস্টলকে ফিরতি ক্যাচ দেওয়ার আগে ৩৬৩ বলে ১৯ চার ও এক ছক্কায় খেলেন ২১৫ রানের অসাধারণ এক ইনিংস।

গত অ্যাশেজে স্টিভেন স্মিথের বদলি হিসেবে নামার পর থেকেই দুর্দান্ত ফর্মে আছেন লাবুশেন। গত বছর ১১ টেস্টে করেছিলেন ১১০৪ রান। হাজার ছুঁতে পারেননি আর কেউ। এবার তিনি নতুন বছর শুরু করলেন ডাবল সেঞ্চুরি দিয়ে।

অথচ ক্যারিয়ারের প্রথম ১৫ ইনিংসে লাবুশেনের ছিল না কোনো সেঞ্চুরি। সেখানে সবশেষ সাত ইনিংসে তিন অঙ্ক ছুঁলেন চারবার। যার একটি আবার ডাবল!

প্রথম তিনটি সেঞ্চুরিই ছিল টানা তিন ইনিংসে। এর মধ্যে দুটিতেই পেরিয়েছিলেন দেড়শ। কিন্তু ডাবলটা ছোঁয়া হচ্ছিল না। এবার সেই আক্ষেপও ঘুচল।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/জানুয়ারি ০৪,২০২০)