দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ। সোমবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরের পর মেডিক্যাল পরীক্ষা সম্পন্ন করেছেনে তারা। এদিন বিকাল সোয়া তিনটার দিকে সোহেল মাহমুদ বলেন, ‘ভিকটিমের শরীরে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। তার গলা চেপে ধরা হয়েছিল, গলায় ক্ষত আছে।’

ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, ‘তাকে ঝোঁপঝাড়ের ভেতরে ফেলার সময় ঝোঁপের গাছের খোঁচায় তার (ছাত্রীর) শরীরের বিভিন্ন জায়গা ছিলে যাওয়ার মতো হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ঘটনার এক পর্যায়ে ভিকটিম জ্ঞান হারায়। জ্ঞান ফিরে এলে সে দেখে ধর্ষক সেখানে তখনও উপস্থিত। ধর্ষক পেছনে ফিরে মেয়েটির ব্যাগে কিছু একটা খোঁজাখুঁজি করছিল। সেই সুযোগে মেয়েটি সেখানে থেকে পালিয়ে আসে।’

প্রসঙ্গত, রবিবার (৫ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৫টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে ওই ছাত্রী বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছিলেন। কুর্মিটোলা বাসস্টেশনে নামার পর তাকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি অনুসরণ করতে থাকে। মাঝপথে তাকে ধরে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে ঘটে। রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফেরে ওই ছাত্রীর। পরে তিনি রিকশায় করে বান্ধবীর বাসায় যান। সেখান থেকে বান্ধবীসহ অন্য সহপাঠীরা তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

সোমবার সকালে ধর্ষণের ঘটনায় ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ওই ছাত্রীর বাবা মামলা দায়ের করেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/জানুয়ারি ০৬,২০২০)