দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় তদন্ত চলছে, জড়িতদের দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

সোমবার বিকেলে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনে আয়োজিত কুচকাওয়াজ পরিদর্শন শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঘটনাটি শুনেছি, মেয়েটি বেশ রাতে ফিরেছে। তার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত করছে। আমাদের কয়েকটি টিম এ নিয়ে কাজ করছে। আমরা এখনও সুনিশ্চিত নই, কী কারণে, কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

এদিকে ঢাবি ছাত্রীকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেডিকেলের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ। ছাত্রীর চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের এই সদস্য বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় এক না একাধিক ব্যক্তি জড়িত তা নিশ্চিতে ওই ছাত্রীর কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে।

এদিকে অপরাধীকে খুঁজে বের করতে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী।

তিনি বলেন, আমরা ঘটনাটি নিবিড়ভাবে তদন্তের চেষ্টা করছি। এর জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। অপরাধীকে খুঁজে বের করার জন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।

উল্লেখ্য, রোববার সন্ধ্যায় কুর্মিটোলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নেমে যাওয়ার পর তাকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ করেন ওই ছাত্রী।

জানা যায়, রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে ঢাবির নিজস্ব বাসে রওনা দেন ওই ছাত্রী। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে নামেন। এরপর একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি তার মুখ চেপে ধরে সড়কের পেছনে নির্জন স্থানে নিয়ে যান। ধর্ষণের পাশাপাশি তাকে নির্যাতনও করা হয়। ধর্ষণের এক পর্যায়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। রাত ১০টার দিকে নিজেকে একটি নির্জন জায়গায় আবিষ্কার করেন ওই ছাত্রী। পরে সিএনজি নিয়ে ঢামেকে আসেন। রাত ১২টার দিকে ওই ছাত্রীকে ঢামেক হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করান তার সহপাঠীরা।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/জানুয়ারি ০৬,২০২০)