যে সূত্র ধরে ধর্ষক মজনু আটক
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় সন্দেহভাজন ধর্ষক মজনুকে (৩০) ভিকটিমের মোবাইলের সূত্র ধরেই গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
আজ রবিবার বেলা দেড়টার পর ব্রিফিংয়ে র্যাবের পক্ষ থেকে আটক করা মজনুর কাছ থেকে উদ্ধারকৃত বিভিন্ন আলামত উপস্থাপন করা হয়। এ সময় আজ বুধবার আটক মজনুকে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে হাজির করেছে র্যাব।
ভিকটিমের মোবাইলটি ধর্ষণের পর ছিনতাই করে সে অরুণা নামে একজনের কাছে বিক্রি করে দেয়। পরে সেই মোবাইলটি তিনি অন্য একজনের কাছে বিক্রি করে। সে ব্যক্তির কাছ থেকে মোবাইলটি উদ্ধার করে র্যাব। সে সূত্র ধরেই মজনুকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম বলেছেন, শ্যাওড়া সেটশনের কাছ থেকেই মজনুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রতিবন্ধীদের ধর্ষণ করত বলেও র্যাবের কাছে স্বীকার করেছে র্যাব।
আটক মজনুর বাড়ি নোয়াখালির হাতিয়ায়। বয়স ৩০। সে মূলত দিনমজুর ও হকার। পাশাপাশি ছিনতাই রাহাজানি, চুরি করা অভ্যাস রয়েছে। এছাড়া সে নিরক্ষর।
র্যাব জানিয়েছে ধর্ষণের পর ঢাবির ওই শিক্ষার্থীকে হত্যার চেষ্টাও করেছিল মজনু।
র্যাব জানায়, আটক মজনুর একটি দাঁত ভাঙা, যা ভিকটিমের কাছ থেকে জানা গেছে। পরে সে তথ্য মজনুকে শনাক্ত করতে কাজে লাগে।
পরে ওই ছাত্রী ছবি দেখে ধর্ষক মজনুকে শনাক্ত করেছে। ধর্ষক মজনুর চেহারা তার স্পষ্ট মনে আছে বলেও জানিয়েছে ওই ছাত্রী।
সিরিয়াল র্যাপিস্ট হিসেবেও মজনু স্বীকার করেছে। বিশেষ করে প্রতিবন্ধী ও ভবঘুরে নারীদের সে ধর্ষণ করে থাকে। এছাড়া সে মাদকাসক্ত বলেও জানায় র্যাব।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/জানুয়ারি ০৮,২০২০)