দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: রংপুর রেঞ্জার্সের মোস্তাফিজ-তাসকিনরা বেশ ভালো বোলিং করেছিলেন। ফলে ঢাকা প্লাটুনকে ৯ উইকেটে ১৪৫ রানেই আটকে দিয়েছিল শেন ওয়াটসনের দল। কিন্তু ১৪৬ রান করতে গিয়ে ৮৪ রানেই শেষ রংপুর। মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ৬১ রানের বড় জয়ে শেষ চার নিশ্চিত করে ফেলেছে মাশরাফির ঢাকা।

এই জয়ে ১০ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দুই নম্বরে ওঠে গেছে ঢাকা প্লাটুন। আর ১১ ম্যাচে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে রংপুর রেঞ্জার্সের।

১৪৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ঢাকার বোলারদের তোপে পড়ে রংপুর। মেহেদী হাসানের প্রথম ওভারেই সাজঘরের পথ ধরেন দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাইম (৪) আর শেন ওয়াটসন (০)। ৪ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারানো রংপুর এরপর আর লড়াইয়ে ফেরার সুযোগই পায়নি।

মাশরাফি, ফাহিম আশরাফ, হাসান মাহমুদ, শাদাব খানরা রীতিমত চেপে ধরেন রংপুরকে। ২২ বলে ২৩ রান করা আল আমিনই শেষ পর্যন্ত দলটির সর্বোচ্চ ইনিংসের মালিক। ১২ বলে ২০ রান করেন ক্যামেরুন ডেলপোর্ট।

মেহেদী হাসান মাত্র ১৩ রানে নেন ৩টি উইকেট। ২টি করে উইকেট মাশরাফি, শাদাব আর ফাহিম আশরাফের ঝুলিতে। এছাড়া হাসান মাহমুদ নেন ১ উইকেট।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ঢাকা প্লাটুনকে ঝড়ো সূচনার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল আর এনামুল হক বিজয়। দুই ওপেনার ১৮ বলের উদ্বোধনী জুটিতে ওঠে ২৬ রান। ৭ বলে ১১ রান করে বিজয় লুইস গ্রেগরির শিকার হলে ভাঙে এই জুটি। এরপর তিন নম্বরে নেমে কিছুই করতে পারেননি মেহেদী হাসান, ৬ বলে ফেরেন ১ রান করে।

উইকেট হারানোর সেই গতি আর থামেনি ঢাকার। আরিফুল হক (১২ বলে ১৩), মুমিনুল হক (৮ বলে ৭) এবং একপ্রান্ত ধরে খেলতে থাকা তামিম ইকবালও (৩৮ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৪০ রান) হাল ছাড়লে ৯০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে ঢাকা।

১৪তম ওভারে এসে হ্যাটট্রিকের সুযোগ তৈরি করেছিলেন তাসকিন। ওভারের চতুর্থ বলে তামিমকে ওয়াটসনের ক্যাচ বানানোর পর পঞ্চম বলে আসিফ আলিকে (১২ বলে ৯) বোল্ড করেন ডানহাতি এই পেসার।

এরপর শাদাব খান ছোটখাটো এক ঝড় তুলে ঢাকাকে সম্মানজনক একটা পুঁজি পর্যন্ত নিয়ে গেছেন। ইনিংসের শেষ ওভারে মোস্তাফিজ দুই উইকেট তুলে নেন। তবে শাদাব ১৯ বলে ১ চার আর ৩ ছক্কায় ৩১ রানে অপরাজিতই থেকে যান।

৪ ওভারে ৩ উইকেট নিতে মোস্তাফিজের খরচা ৩৪ রান। সমান ওভারে ৩২ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নিয়েছেন তাসকিন। এছাড়া মোহাম্মদ নবী পান ২ উইকেট।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/জানুয়ারি ০৯,২০২০)