দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ঢাকার কুর্মিটোলায় রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার মজনুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।

ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেন।

মজনুকে ঢাকার আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছিল ডিবি।

প্রসঙ্গত, এর আগে বুধবার (৮ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় মজনুকে (৩০) গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর মোবাইলের সূত্র ধরে মজনুকে বুধবার ভোরে রাজধানীর শেওড়া রেলক্রসিং এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে ওই ছাত্রীর ব্যাগ ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারের পর আসামি মজনু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন বলে র‌্যাব জানিয়েছে।

র‌্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি বলেছেন, ৫ জানুয়ারি কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে তিনি বিমানবন্দর সড়ক ধরে হাঁটছিলেন। এ সময় পিঠে ব্যাগ নিয়ে যাচ্ছিলেন ওই ছাত্রী। তাঁকে পেছন থেকে জাপটে ধরে ঝোপের দিকে টেনে নিয়ে যান মজনু। এরপর ছাত্রীটিকে ঘুষি, চড় মারতে থাকেন এবং গলা চেপে ধরে হত্যার হুমকি দেন।

এ অবস্থায় ছাত্রীটি পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে অচেতন হয়ে পড়েন। তাঁর যখন চেতনা ফিরে আসে, তখন তিনি সুযোগ বুঝে মজনুর কাছ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে পালাতে সক্ষম হন।

ঘটনার দিন রাতে মজনু ছাত্রীটির কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া মুঠোফোনটি বিক্রি করে নরসিংদী চলে যান। পরে আবার ফিরে আসেন। গত মঙ্গলবার দিনভর মজনু বনানী রেলস্টেশন এলাকায় ছিলেন।

মজনু জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে, ঐ দিন সে একাই ছিল। সে নিরক্ষর। ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে তার সামনের দুটি দাঁত ভেঙে যায়। তার বাড়ি নোয়াখালীর হাতিয়ার জাহাজমারা গ্রামে। তার বাবা মৃত মাহফুজুর রহমান। সে ১০ বছর আগে ঢাকায় আসে। গ্রামের বাড়িতে মা থাকলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ নেই। স্ত্রী মারা যাওয়ার পরে সে আর বিয়ে করতে পারেনি। তাই সে এ ধরনের কাজ করত।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/জানুয়ারি ০৯,২০২০)