ইভিএমকে বঙ্গোপসাগরে ফেলতে বলল ঐক্যফ্রন্ট
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ঢাকা সিটি করপোরেশনের ভ্যোটগ্রহণে ইভিএম বাতিলের অনুরোধ জানিয়েছেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা আ স ম আবদুর রব।
তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচনে ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতিতে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে সরকার ও নির্বাচন কমিশন। আর ইভিএম হলো ভোট চুরির নতুন পদ্ধতি। আল্লাহর ওয়াস্তে আপনারা ইভিএম পন্থা বাদ দিন। এটাকে বঙ্গোপসাগরে ফেলে দিন।’
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকাল সোয়া চারটায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার এবং নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। সম্মেলনে এ সব কথা বলেন ফ্রন্টের শীর্ষ নেতা আ স ম আবদুর রব।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ওপর জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস নেই। সে কারণে সুষ্ঠু ভোট ছাড়াই ক্ষমতা দখল ও ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার নিত্য নতুন কূটকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে। জনগণকে নানাভাবে হয়রানি ভয়-ভীতি সন্ত্রাস ও গ্রেফতারের মাধ্যমে নির্বাচন বিমুখ করা হয়েছে।’
আবদুর রব বলেন, ‘বাংলাদেশ সংবিধানে নির্বাচন সম্পর্কে প্রকাশ্যে পেপার ব্যালটের কথা বলা হয়েছে। বলা হয়েছে ভোটের গোপনীয়তা রক্ষিত হবে। কিন্তু ইভিএমে ভোটের গোপনীয়তা থাকে না। ভোটারের কাছে কোনো প্রমাণ থাকে না। এতে ভোটগ্রহণ একটি সত্যিকারের গণতন্ত্রের মৌলিক অধিকার ও সংবিধান লংঙ্ঘন।’
পৃথিবীর বহু উন্নত দেশে ইভিএম চালু করা হয়েছিল কিন্তু সেসব দেশে এখন ইভিএম স্থগিত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘যে কোনো যন্ত্র বা প্রযুক্তি চলে মানুষের কমান্ডে। কিন্তু যারা কমান্ডে আছে তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ইভিএমের মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করবে একথা বলাই বাহুল্য। ইভিএমে প্রযুক্তি এবং তথ্য পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে মধ্যরাতে ভোটের ধারাবাহিকতায় এটা হবে আরও একটি জঘন্য দৃষ্টান্ত। ইভিএম পদ্ধতি বিতর্কিত এবং সাংবিধানিকভাবে অগ্রহণযোগ্য। এভাবে ভোট করলে তা পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়া পদ্ধতিও ব্যবস্থাকে অশুভ অভাঘাতের দিকে নিয়ে যাবে নিঃসন্দেহে।’
সরকারের উদ্দেশে রব বলেন, ‘২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে করে কলঙ্ক লেপন করেছেন। ২০২০ সাল বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর বছর। এই বছরে আর ভোট কারচুপি না করে পদত্যাগ করুন।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ড. আবদুল মঈন খান, মাহমুদুর রহমান মান্না, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী, সুব্রত চৌধুরী, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/জানুয়ারি ১৮,২০২০)