যে ৩ কারণে টাইগারদের করুণ পরিণতি
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: র্যাংকিংয়ের হিসেবে পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশের পরাজয়টা আশ্চর্যকর বা লজ্জার নয়। তবে যে দলটি নিজেদের শেষ নয় ম্যাচে জয়ের মুখ দেখেনি, তাদের কাছে অসহায় আত্মসমপর্ন কতটা যুক্তিযুক্ত? ১৪২ রানের ছোট পুজিতেও আজ টাইগার বোলাররা চাপে রেখেছিল পাকিস্তানকে। তবে ব্যাটসম্যানদের শ্লথগতির ইনিংসের সামনে বোলারদের চেষ্টাটা ফিকে হয়েছে।
বেশকিছু জায়গায় খুব অদ্ভুত সিদ্ধান্ত নিয়েছে আজ বাংলাদেশ। দলের ব্যাটিং লাইন আপ, ব্যাটসম্যানদের উইকেট আঁকড়ে ধরে থাকা কিংবা বারবার দলের টপ অর্ডারের ব্যাকফুটে ঠেলে দেয়াটা ভোগাচ্ছে বাংলাদেশকে। লাহোরে সিরিজের প্রথম টি-টুয়েন্টিতে টাইগারদের পরাজয়ের অন্যতম তিনটি কারণ নিয়ে এই প্রতিবেদন।
টপ অর্ডারের সৃষ্ট চাপ
তামিম আর নাঈম শুরুটা ভালো ছিল। পাকিস্তানের পেস অ্যাটাককে সামলে উইকেটে টিকেছেন দুইজনই। তবে স্বভাবসুলভ খেলাটা খেলেনি কেউ। ফলাফল হিসেবে পাওয়াপ্লে থেকে বাংলাদেশ নিয়েছে মাত্র ৩৫ রান। তামিম-নাঈম জুটি দেখে খেলে ১১ ওভারে তুলেছে ৭২ রান। তবে এরপর স্ট্রাইক রেট বাড়ানোর আগেই আউট হয়ে গেছেন দুজন।
তামিম আউট হয়েছেন ভুল সিদ্ধান্তে। ১ রানের স্থানে ২ রান নিতে গিয়ে হয়েছেন রান আউটের শিকার। আর শুরুর দিকে সৃষ্ট রানের চাপ কমাতে ব্যর্থ হয়েছেন নিয়মিত ওপেন করা লিটন কুমার দাস। আর নিজের জায়গা বদলে সফলতা পায়নি বিপিএলে ভালো করা আফিফ হোসেন। ফলে ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ১২০ বলে টাইগারদের সংগ্রহ মোটে ১৪১; যা কিনা এই মাঠে আগে ব্যাট করে তোলা সর্বনিম্ন স্কোর।
অপরিকল্পিত ব্যাটিং লাইনআপ
পাঁচজন ওপেনারকে গিয়ে পাকিস্তানে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তামিম আর নাঈম ওপেন করলেন, কিন্তু পরিস্থিতির দাবিটা কি মেটাতে পারলেন? এরপর লিটন নামলেন। চারে উঠে এলেন মাহমুদউল্লাহ, পাঁচে আফিফ। অথচ পরিস্থিতি সৌম্যকে আগে দাবি করলেও তিনি চলে গেলেন ছয়ে। স্ট্রাইক রেটের দিক দিয়ে দুই ওপেনারকে দায় নিতে হলেও পরের দিকের ব্যাটসম্যানরাও কেউ হাত খুলে খেলতে পারেননি।
মুশফিক না থাকায় আর ইমরুল কায়েসের ইনজুরিতে ব্যাকআপ উইকেটরক্ষক হিসেবেই মোহাম্মদ মিঠুনের স্থান হয়েছিল স্কোয়াডে। মিঠুন একাদশে থাকলেও কিপিং করেছেন লিটন। অথচ লোয়ার মিডল অর্ডারে মিঠুন মারকুটে ইনিংস খেলতে পারবেন কিনা তা নিয়ে আছে সন্দেহ।
সমস্যার নাম ডট বল
ডট বলের কারণে বাংলাদেশকে ভুগতে হচ্ছে টি-টুয়েন্টিতে। আর ব্যাটসম্যানদের মাঝে এই ডট বলের প্রবণতা দিনদিন হচ্ছে তীব্রতর। টি-টুয়েন্টি যে শুধু চার-ছয়ের খেলা নয়, বরং প্রয়োজন সিঙ্গেলস-ডাবলস বের করা সেটা প্রমাণ করেছে পাকিস্তান। ইতিহাসের প্রথম দল হিসেবে ১৪২ রান তাড়া করতে একটিও ছয়ের প্রয়োজন হয়নি পাকিস্তানের।
বাংলাদেশের ইনিংসে ৪৫টি ডট বল দিয়েছেন পাকিস্তানি বোলাররা। সবচেয়ে বেশি ১১টি করে দিয়েছেন ইমাদ ওয়াসিম ও শাহীন শাহ আফ্রিদি। অথচ পাকিস্তানের ইনিংসে ডট ছিল মাত্র ৩৩টি। একটা সময় টানা ১৬ বল সিঙ্গেলস নিয়েছেন মালিক ও আহসান।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/জানুয়ারি ২৪,২০২০)