দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: প্রথম ম্যাচের ভুল শুধরে দ্বিতীয় ম্যাচে স্বরুপে ফিরে আসবে টাইগাররা, এমন আশাই ছিল বাংলাদেশের সমর্থকদের। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং সব বিভাগের হতশ্রী পারফরম্যান্সে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ হারলো মাহমুদউল্লাহরা। বাংলাদেশের ১৩৬ রানের মামুলি স্কোরের জবাবে ২০ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌছায় পাকিস্তান। বাংলাদেশ হারে ৯ উইকেটে।

টস জিতে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৩৬ রান। জবাবে ২০ বল হাতে রেখেই টপকে যায় পাকিস্তান। পাকিস্তানের হয়ে অর্ধশতক তুলে নেন বাবর আজম এবং মোহাম্মদ হাফিজ।

বাংলাদেশের দেওয়া টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই সাজঘরে ফেরেন পাক ওপেনার আহসান আলী। প্রথম ওভার করতে এসেই নিজের চতুর্থ বলে আহসান আলীকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে ক্যাচ বানিয়েছেন শফিউল ইসলাম। দলীয় ৬ রানে প্রথম উইকেট হিসেবে ডাক নিয়ে সাজঘরে ফিরেছেন পাকিস্তানি ওপেনার।

এরপরে অভিজ্ঞ মোহাম্মদ হাফিজকে সঙ্গী করে ঘুরে দাঁড়ায় পাকিস্তান। অধিনায়ক বাবর আজম এবং মোহাম্মদ হাফিজ উভয়ই তুলে নেন অর্ধশতক। আর তাতেই জয়ের সুবাস পেতে শুরু করে স্বাগতিকরা। বাবর আজম এবং মোহাম্মদ হাফিজ দুইজনই তুলে নেন অর্ধশতক। অধিনায়ক বাবরের ৬৬ এবং মোহাম্মদ হাফিজের ৬৭ রানে ২০ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় পাকিস্তান। আর সেই সঙ্গে নিশ্চিত করে সিরিজ জয়ও।

এর আগে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৫ উইকেটে জিতে ১-০'তে এগিয়ে গিয়েছিল স্বাগতিকরা। আর শনিবার দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে ৯ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করল পাকিস্তান। বাংলাদেশের হয়ে তিন ওভারে ২৭ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট তুলে নেন শফিউল ইসলাম।

এর আগে লাহোরে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও মন্থর ব্যাটিংয়ের প্রদর্শন দেখালেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার মোহাম্মদ নাইম ফিরে যান কোনো রান করার আগেই। দলীয় ৫ রানেই দ্বিতীয় ওভারের ২য় বলে শাহিন শাহ্‌ আফ্রিদির বলে উইকেটের পেছেন ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরে যান এই ওপেনার। এরপরে দেখেশুনে খেলতে থাকে মেহেদি হাসান ও তামিম ইকবাল। ম্যাচের তৃতীয় ওভারে ইমাদ ওয়াসিম দেন ১২ রান। বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম বাউন্ডারি হাঁকান মেহেদি। ইমাদকে লং অনের উপর দিয়ে ছয় মারেন এ ডানহাতি। একই ওভারে চার মারেন তামিম। এরপরে পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বলে মোহাম্মদ হাসনাইনকে পুল করতে গিয়ে ফেরেন মেহেদি।

পাওয়ারপ্লেতে দুই উইকেট হারানোর পর লিটনকে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তামিম। কিন্তু দলীয় ৪১ রানে শাদাব খানের বলের এলবির শিকার হন লিটন (৮)। এরপর তামিম-আফিফে আশার আলো দেখলেও দলীয় ৮৬ রানে সাজঘরে ফেরেন আফিফ। তামিমের সঙ্গে ৪৫ রানের জুটি গড়ার পর মোহাম্মদ হাসনাইনের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন আফিফ। দলীয় ৮৬ রানে ব্যক্তিগত ২০ বলে ২১ রান করে ফেরেন এই ব্যাটসম্যান। এরপর৪৪ বলে তুলে নেন অর্ধশতক তুলে নেন তামিম। তার ব্যাটে ভর করেই ইনিংসের ১৬তম ওভারে দলীয় শতক পুর্ণ হয় বাংলাদেশের।

অন্যরা যখন উইকেটে আসা যাওয়ার মিছিলে, সে সময়ই উইকেটের এক প্রান্ত আকড়ে ধরে থাকেন তামিম ইকবাল। তবে শেষ পর্যন্ত ইনিংস শেষ করতে পারেননি অপরাজিত থেকে। ব্যক্তিগত ৫৩ বলে ৬৫ করে রান আউট হয়ে ফেরেন তামিম। সিরিজের প্রথম ম্যাচেও রান আউটে কাটা পড়েছিলেন তামিম।

শেষ পর্যন্ত মাহমুদুল্লাহর ১২ রানে ১৩৬ রানে থামে বাংলাদেশের ব্যাটিং ইনিংস। পাকিস্তানের হয়ে ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন মোহাম্মদ হাসনাইন। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন শাদাব খান এবং শাহিন শাহ্‌ আফ্রিদি।

বাংলাদেশ দল:

মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, মোহাম্মদ নাঈম, আফিফ হোসেন, লিটন দাস (উইকেটকিপার), সৌম্য সরকার, মাহেদী হাসান , আমিনুল ইসলাম, শফিউল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, আল-আমিন হোসেন।

পাকিস্তান দল:

বাবর আজম (অধিনায়ক), আহসান আলী, মোহাম্মদ হাফিজ, শোয়েব মালিক, ইফতিখার আহমেদ, ইমাদ ওয়াসিম, মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটকিপার), শাদাব খান, হারিস রউফ, শাহীন আফ্রিদি, মোহাম্মদ হাসনাইন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/জানুয়ারি ২৫,২০২০)