দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: শনিবার সকাল পৌনে এগারোটা। ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়াজউদ্দিন স্কুল কেন্দ্র। নিরাপত্তার দেখভালের জন্য পুলিশ ও আনসার সদস্যরা অবস্থান করছেন কেন্দ্রের সামনে। ভেতরে আছেন প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং পোলিং এজেন্টরা। ভোট আয়োজনের জন্য যা যা দরকার তার কোনো কিছুরই কমতি ছিল না। তবে যাদের জন্য এত আয়োজন ওয়াজউদ্দিন স্কুলে দেখা নেই সেই ভোটারদের!

সিটি নির্বাচনে ভোটের চিত্র শুধু এই কেন্দ্রেই নয়, রাজধানীর বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে গিয়ে একই চিত্র দেখা গেছে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর আসছেন ভোটাররা। তাও হাতেগোনা কয়েকজন।

নির্বাচনের পরিবেশ কেমন হবে তা নিয়ে উদ্বেগের কারণে ভোট দিতে আসতে অনীহা দেখাচ্ছেন বলে কেউ কেউ দাবি করেছেন।

শাহজাহান নামে একজন ভোটার সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজে ভোট দিয়ে বের হয়ে বলেন, ‘আগের মতো ভোটের উৎসব নেই। ভোটারদেরও উৎসাহ নেই। কোথায় মারামারি হয়, না হয় ভোট দিতে বাধার মুখে পড়তে হয়। কেউ চায় না শুধু শুধু ঝামেলায় পড়তে।’

এই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা তো সব কিছু নিয়ে প্রস্তুত আছি। ভোটাররা না আসলে সে দায় তো আমাদের না।’

৮ নম্বর ওয়ার্ডের শহীদ শাহজাহান সরকারি স্কুল কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা ভোট নেয়ার জন্য প্রস্তুত। ভোটারদের উপস্থিতি কিছু কম। তবে বেলা বাড়লে হয়তো ভোটার বাড়তে পারে।’

সকাল আটটায় ঢাকার দুই সিটিতে ভোট শুরু হয়েছে। একযোগে ভোট চলবে বিকাল চারটা পর্যন্ত। নির্বাচনে ঢাকা উত্তরে নৌকা প্রতীকে আতিকুল ইসলাম এবং ধানের শীষের প্রতীক নিয়ে তাবিথ আউয়াল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এছাড়া ঢাকা দক্ষিণে আওয়ামী লীগ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শেখ ফজলে নূর তাপস। তার বিপরীতে বিএনপি থেকে মেয়র পদে লড়াই করছেন ইশরাক হোসেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ফেব্রুয়ারি ০১,২০২০)