৩০ মিনিটের আলটিমেটাম, বিএনপির নেতা-কর্মীরা সরে গেলেন ৩ মিনিটেই!
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ঢাকা সিটি নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীতে হরতাল আহ্বান করেছে বিএনপি। হরতালের সমর্থনে সাকাল থেকেই নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিচ্ছেলেন দলটির নেতা-কর্মীরা।
পুলিশ তাদের সেখান থেকে সরে যেতে ৩০ মিনিটের আলটিমেটাম দেয়। কিন্তু আল্টিমেটামের মাত্র তিন মিনিটের মধ্যেই তারা রাস্তা ছেড়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে চলে যান।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীরা জয় লাভ করে। নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে ঢাকায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকে বিএনপি।
গতকাল সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হরতালের এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ ১০ থেকে ১৫ জন নেতা-কর্মীদের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের মূল ফটকের সামনে দেখা যায়। তারা হরতালের পক্ষে এবং নির্বাচনী অনিয়মের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দিতে থাকেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংখ্যা বাড়ে।
সকাল নয়টার পর মির্জা ফখরুল সেখানে এসে কিছুক্ষণ বসে কার্যালয়ের ভেতরে চলে যান। এই প্রতিবেদন লেখার সময় তিনি কার্যালয়ের ভেতরেই অবস্থান করছিলেন।
বেলা ১১টার দিকে হরতালের সমর্থনে এই কর্মসূচিতে অংশ নেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপির পরাজিত প্রার্থী ইশরাক হোসেন। এই কর্মসূচিতে উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপির পরাজিত প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও তিনি আসেননি।
প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান, বেলা ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থানরত রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে কথা বলেন পুলিশের মতিঝিল জোনের সহকারী কমিশনার জাহিদুল ইসলাম।
পুলিশের এই কর্মকর্তা রুহুল কবির রিজভীকে আধঘণ্টার মধ্যে রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার জন্য সময় বেঁধে (আলটিমেটাম) দেন। পুলিশের আলটিমেটামের পর ঘটনাস্থলে থাকা বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে কিছুটা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের থামানোর চেষ্টা করেন ইশরাক হোসেন। পরে তিন মিনিটের মধ্যে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে চলে যান দলটির নেতা-কর্মীরা।
কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে সরে যাওয়ার আগে রুহুল কবির রিজভী বলেন, মধ্যাহ্নভোজ ও নামাজের জন্য তারা আপাতত কর্মসূচিতে বিরতি দিচ্ছেন। পরে তারা আবার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করবেন।
হরতালের সমর্থনে বিএনপির এই কর্মসূচিতে দলটির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, খায়রুল কবির খোকন, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু প্রমুখ অংশ নেন।
দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে মহাসচিব মির্জা ফখরুল দুই মিনিটের জন্য সেখানে অবস্থান করেছিলেন। এ ছাড়া দলটির জ্যেষ্ঠ নেতাদের মধ্যে অন্য কাউকে সেখানে আর দেখা যায়নি।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ফেব্রুয়ারি ০২,২০২০)