দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব টাকা পরিশোধ না করলে গ্রামীণ ফোনে প্রশাসক নিয়োগ দেবে সরকার এমন তথ্য জানিয়েছেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান জহুরুল হক। সোমবার দুপুরে গ্রামীণফোনের সংবাদ সম্মেলনের প্রতিক্রিয়ায় এ খবর জানান তিনি।

২ হাজার কোটি টাকা পাওনার মধ্যে বিটিআরসিকে ৫৭৫ কোটি টাকা পরিশোধ করতে প্রস্তুত রয়েছে গ্রামীণফোন। বাকি টাকা পরিশোধের ক্ষেত্রে আদালতের রায় অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবে প্রতিষ্ঠানটি।

সোমবার রাজধানীর বসুন্ধরায় জিপি হাউজে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান দেশের শীর্ষ মোবাইল অপারেটর প্রতিষ্ঠানটির প্রথম বাংলাদেশি সিইও ইয়াসির আজমান। গ্রামীণফোনের সংবাদ সম্মেলনের প্রতিক্রিয়ায় বিটিআরসির চেয়ারম্যান জানান, ফেব্রয়ারি মাসের ২৪ তারিখের মধ্যেই ২ হাজার কোটি টাকা বিটিআরসিকে পরিশোধ করতে হবে গ্রামীণফোনকে।

গ্রামীণফোনের কাছে বিটিআরসি ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা পাওনা দাবি করছে। আর দ্বিতীয় বড় অপারেটর রবি আজিয়াটার কাছে দাবি করা হচ্ছে ৮৬৭ কোটি টাকা। এ পাওনার উৎস প্রতিষ্ঠান দুটিতে বিটিআরসির চালানো নিরীক্ষা। গ্রামীণফোনের ওপর নিরীক্ষা করা হয় ১৯৯৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত। আর রবির ওপর নিরীক্ষা করা হয় ১৯৯৭ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত।

বিটিআরসি বলছে, রাজস্ব ভাগাভাগি, করসহ বিভিন্ন খাতে এ টাকা ফাঁকি দিয়েছে অপারেটর দুটি। অবশ্য শুরু থেকেই গ্রামীণফোন ও রবি নিরীক্ষার দাবির বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করে আসছে। তারা চায়, সালিসের মাধ্যমে পাওনার বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হোক। যদিও বিটিআরসি বলে আসছে, তাদের আইনে সালিসের সুযোগ নেই।

পাওনা আদায়ে ব্যান্ডউইথ কমিয়ে দেওয়া, প্যাকেজ ও সরঞ্জাম আমদানির অনুমোদন বন্ধ করার পরও সাড়া না পেয়ে বিটিআরসি অপারেটর দুটিকে লাইসেন্স বাতিলের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়। এ নিয়ে আদালতে যায় গ্রামীণফোন ও রবি।

গ্রামীণফোনের আবেদনের পর হাইকোর্ট বিটিআরসির পদক্ষেপের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন। পরে গত ২৪ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বলেছেন, গ্রামীণফোনকে তিন মাসের মধ্যে দুই হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে। তা না হলে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা বাতিল হবে। এরই মধ্যে গ্রামীণফোনের বেশির ভাগ শেয়ারের মালিক টেলিনর এশিয়া বিষয়টি নিয়ে সালিস চেয়ে নোটিশ পাঠায়।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ফেব্রুয়ারি ০৩,২০২০)