নকল সরবরাহ করার দায়ে পাঁচ শিক্ষকের ২ বছরের কারাদণ্ড
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের একটি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের নকল সরবরাহ করার দায়ে ৫ শিক্ষকের প্রত্যেককে ২ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার দুপুরে আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাদরাসা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- উপজেলার চরচারতলা ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার সহকারী সুপার মো. মাজহারুল ইসলাম (৪২), একই মাদরাসার সহকারী শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম (৩৫), খোলাপাড়া ওমেদ আলী শাহ দাখিল মাদরাসার সহকারী সুপার মো. মহিউদ্দিন (৩৮), তালশহর করিমিয়া ফাজিল মাদরাসার প্রভাষক কবির হোসেন (৪০) ও সরাইল উপজেলার পানিস্বর মাদেনিয়া গাউছিয়া দাখিল মাদরাসার সহকারী সুপার আব্বাস আলী (৫০)।
তথ্য মতে, সোমবার ছিলো দাখিল পরীক্ষার প্রথম দিন। ওইদিন আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাদরাসা কেন্দ্রে ছিল কোরআন মাজিদ ও তাজিভিদ পরীক্ষা। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই কেন্দ্র সচিবের পাশের রুমে ওই ৫ শিক্ষক পরীক্ষার এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর লিখছিলেন। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাজিমুল হায়দার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেন কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন। পরে কেন্দ্র সচিবের পাশের রুমে যেতেই এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর লিখাবস্থায় ওই শিক্ষকদের দেখে ফেলেন তারা। পরে অপরাধ স্বীকার করে নেয়ায় প্রত্যেককে ২ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজিমুল হায়দার জানান, পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইনের ১৯৮০ ধারা ৯ (ক) মোতাবেক প্রত্যেককে দুই বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ফেব্রুয়ারি ০৪,২০২০)