চীন ফেরত দুই শিক্ষার্থী হবিগঞ্জ ও বরগুনার হাসপাতালে ভর্তি
জেলা প্রতিনিধি: চীন ফেরত দুজন শিক্ষার্থী হবিগঞ্জ ও বরগুনার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। হবিগঞ্জ ও বরগুনার সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওই শিক্ষার্থীরা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নন। সতর্কতার জন্য তাদের হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।
হবিগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শহরের শায়েস্তানগরের চীন ফেরত রায়হান আহমেদ নামে এক যুবক অসুস্থ হয়ে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। এসময় চিকিৎসক তাকে সন্দেহভাজন হিসেবে সদর হাসপাতালে ভর্তি দিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, সোমবার তার রক্তের স্যাম্পল নিয়ে ঢাকায় প্রেরণ করা হবে। সেখান থেকে পরীক্ষা করে নিয়ে আসলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। তবে করোনা আক্রান্ত কোনও রোগী এখনও বাংলাদেশে পাওয়া যায়নি বলেও জানান তিনি।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, সদর হাসপাতালে ভর্তি যুবক রায়হান চীন থেকে দেশে ফেরার পর ঢাকায় আশকোনা হজ্ব ক্যাম্পে ১৫ দিনের চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এদিকে, চীন ফেরত আরও একজন শিক্ষার্থীকে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে বরগুনা জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গায়ে জ্বর থাকায় তাকে বরগুনা জেলা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। তবে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
রবিবার সন্ধা সাড়ে ৭টার দিকে বরগুনা সদর উপজেলার বালিয়াতলী নিজ বাড়ি থেকে তাকে জেলা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন বিভাগের নেওয়া হয়।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, বরগুনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে পাশ করে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে তিন মাস আগে চীন পড়তে যান ইমরান। এর পরে চীনে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ শুরু হলে ১২ ফেব্রুয়ারি দেশে ফেরেন। বিমানবন্দর থেকে নামার সময় তার গায় জ্বর না থাকলেও আজ বাড়িতে এসে ইমরান জ্বরে আক্রান্ত হন। পরে পুলিশের সহযোগিতায় হাসপাতালের আইসোলেশন বিভাগের আলাদা ওয়ার্ডে তাকে ভর্তি করা হয়েছে।
বরগুনা জেলা সদর হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. সোহরাব উদ্দীন বলেন, ‘চীন ফেরত ইমরান গায়ে জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাকে চিকিৎসার জন্য আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। তার গায়ে সামান্য জ্বর থাকলেও ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। করোনা ভাইরাসের যে লক্ষণ একজন মানুষের শরীরে থাকে, তার মধ্যে সেরকম কোনও সম্ভাবনা নেই। তবু যেহেতু চীন থেকে ফিরেছে, তাই তাকে আমাদের চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।’
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ফেব্রুয়ারি ১৭,২০২০)