দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আওয়ামী লীগ দলীয়করণ করতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাসীন দলটির সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেছেন, দল-মত-নির্বিশেষে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসীদের মুজিব বর্ষ উদযাপন উন্মুক্ত থাকবে। তবে যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না এবং সম্প্রদায়িক শক্তি তাদেরকে এই মহাআয়োজনে সম্পৃক্ত করা হবে না। তবে বিএনপি চাইলে এ আয়োজনে সম্পৃক্ত হতে পারে।

বৃহস্পতিবার ঢাকার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন কাদের। মুজিববর্ষ উদযাপনে যে জাতীয় কমিটি করা হয়েছে তার সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা মহানগরের অন্তর্গত দলীয় সংসদ সদস্য এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে মতবিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভার মূল এজেন্ডা ছিলো সফল ভাবে মজিববর্ষ উদযাপন করতে সামগ্রিক অগ্রগতি এবং প্রস্তুতি পর্যালোচনা।

কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু মহানায়ক, তাকে নিয়ে আমরা দলীয়করণ করতে চাইনা। তিনি সবকিছুর ঊর্ধ্বে। দল-মত-নির্বিশেষে যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে, স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাস করে সকলের জন্যই এ মুজিব বর্ষ উদযাপন উন্মুক্ত থাকবে। এখানে সংকীর্ণতার কোন সুযোগ নেই।’

মুজিববর্ষে বিএনপি আমন্ত্রণ পাচ্ছে কি-না জানতে চাইলে কাদের বলেন, ‘আমাদের জাতীয় সম্মেলনে বিএনপিকে দাওয়াত দিয়েছি। আর মুজিববর্ষের ক্ষণগণনায় তারা আমন্ত্রিত ছিল। এখন তারা ডিসাইড করবেন, তারা থাকবেন কিনা। তাদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি, তারা অংশগ্রহণ করবে কিনা, সেটা তাদের ব্যাপার।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যারা বিশ্বাস করে না এবং সম্প্রদায়িক শক্তি তাদের মুজিববর্ষ উদযাপনে সম্পৃক্ত করা হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী, সাম্প্রদায়িক শক্তিকে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে চায় না। এটা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই।’

মুজিববর্ষ উপলক্ষে সংসদের বিশেষ অধিবেশন
মুজিববর্ষ উপলক্ষে সংসদের বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে কাদের বলেন, ‘মুজিববর্ষ উপলক্ষে ২২ এবং ২৩ মার্চ সংসদের বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। ২২ তারিখ অধিবেশন শুরুর আগে, আমরা যারা একাদশ জাতীয় সংসদ এর সদস্য; তারা একযোগে ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধুর নিজস্ব যে বাসভবন সেই বাসভবনে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করব। এর মধ্য দিয়ে বিশেষ অধিবেশনের কার্যক্রম শুরু হবে।’

অধিবেশনের দু'দিন বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সংসদ সদস্যরা বক্তব্য রাখবেন বলেও জানান ক্ষমতাসীনদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাংগঠনিক এ নেতা। মুজিববর্ষ উদযাপনের মধ্যদিয়ে দেশকে সারাবিশ্বের সামনে ‘বাংলাদেশ ব্রান্ড’ হিসেবে উপস্থাপনে সরকার বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছে বলেও এসময় জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, সাখাওয়াত হোসেন শফিক, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক ব্যরিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং সহযোগী সংগঠন গুলোর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ফেব্রুয়ারি ২০,২০২০)