দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: দেশের ব্যাংক খাতে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা। তারমধ্যে অর্ধেকই সরকারি ব্যাংকগুলোর বলে জানিয়েছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফল পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

ব্যাংকিং কমিশন গঠন প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়ায় শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দেন সংস্থাটির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

এ সময় তিনি বলেন, ব্যাংকিং কমিশনের মেয়াদ হওয়া উচিত সাময়িক। সমস্যা চিহ্নিত করার পর সমাধানের উপায় নির্ধারণ করে ৩ থেকে ৪ মাসের মধ্যে সুপারিশ দেবে কমিশন। এই কমিশন সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে, কারা দায়ী তা চিহ্নিত করে এসব সংকট উত্তরণের উপায় নির্ধারণের করবে।

সিপিডি ফেলো বলেন, ব্যাংকিং কমিশন গঠন হবে একটা অভুতপুর্ব সুযোগ। রাজনৈতিক দূরদর্শিতা। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বাক ফেরানোর সুযোগ আসতে পারে এতে।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ব্যাংকিং কমিশন শুধু ব্যাংকগুলোকে দেখবে না, সরকার যে ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছে তাও দেখবে। এছাড়া ব্যাংকের টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে কি না সে বিষয়েও প্রতিবেদন দেবে।

এসময় সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, এমন মানুষকে ওই কমিশনে আনতে হবে, যাদের দক্ষতা, যোগ্যতা, বিচক্ষণতা ও সততা থাকবে। তারা যাতে নির্মোহভাবে কাজ করতে পারেন, সেই নিশ্চয়তা দিতে হবে। তাদের রাজনৈতিক সমর্থন দিতে হবে এবং স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। তারা যে সুপারিশ করবেন, তা বাস্তবায়নে রাজনৈতিক উদ্যোগ থাকতে হবে।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, সিপিডি এই কমিশনের কার্যক্রম নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করবে এবং তাদের মতামত তুলে ধরবে।

বিদেশে পাচার হওয়া টাকা ফিরিয়ে আনার দাবি করে অনুষ্ঠানে সিপিডির বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ভারত সরকার এ জাতীয় উদ্যোগ নিয়েছে। আমরাও এটা করতে পারি।

তিনি আরো বলেন, ব্যাংক কমিশন গঠনের উদ্যোগকে অভিনন্দন জানাই। তবে সেই সমর্থন শর্তসাপেক্ষ। শর্তটি হলো এই কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ফেব্রুয়ারি ২২,২০২০)