শান্তর প্রথম টেস্ট হাফসেঞ্চুরি
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বাংলাদেশের হয়ে তিনটি টেস্ট খেলে ফেলেছেন ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু এখনও দেখা পাননি কাঙ্ক্ষিত টেস্ট হাফসেঞ্চুরির। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে সেই অতৃপ্তি মেটালেন তিনি। তার হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে ২ উইকেটে ১২০ রান নিয়ে দ্বিতীয় সেশনের বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। বিরতির পর স্বাগতিকদের এগিয়ে নিচ্ছেন মুমিনুল হক ও শান্ত জুটি। বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়িয়েছে ২ উইকেটে ১৪৫ রান। তারা এখনও পিছিয়ে ১২০ রানে।
শান্তর সঙ্গে ৭৮ রানের জুটি গড়ে ফিরেছেন তামিম। তিনি ফিরেছেন ৪১ রান করে। তামিম পারেননি, তবে ৩৭তম ওভারে ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন শান্ত। তিনি ব্যাট করছেন ৬১ রানে। অধিনায়ক মুমিনুল হক ৩১ রানে ব্যাট করছেন।
একমাত্র এই টেস্টে দিনের শুরুতে বোলাররা নিজেদের কাজটা ভালো মতো করলেও ওপেনিংয়ে ছিল ব্যর্থতা। দলীয় ১৮ রানেই বিদায় নিয়েছেন ওপেনার সাইফ হাসান।
তামিম ইকবাল অবশ্য শুরুতে মেরে খেলবার চেষ্টা করেছেন। সাইফ বিপদ ডেকে আনেন চতুর্থ ওভারে। নিয়ুচির বলে খোঁচা মারতে গিয়ে গ্লাভসবন্দী হয়েছেন ৮ রানে। পরে নাজমুল শান্ত ও তামিম ইকবাল মিলে প্রতিরোধ গড়ে জিম্বাবুয়ে বোলারদের পরীক্ষা নিয়েছেন। তামিম হাফসেঞ্চুরির কাছেই ছিলেন। কিন্তু তিরিপানোর বল ঠিকমতো খেলতে পারেননি। বল ব্যাটের ভেতরের কোনায় লেগে চলে যায় কিপারের হাতে। ৮৯ বলে ৪১ রান করে ফিরেছেন তামিম।
এর আগে প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়েকে তারা গুটিয়ে দিয়েছে ২৬৫ রানে। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টেস্টের দ্বিতীয় দিনটা সাবধানি ভঙ্গিতে শুরু করেছিল জিম্বাবুয়ে। দিনের প্রথম ওভারটা করেন আবু জায়েদ। পরের ওভারে আসেন তাইজুল ইসলাম। দুই ব্যাটসম্যান ডোনাল্ড তিরিপানো ও রেজিস চাকাভা সাবধানেই খেলতে থাকেন তাদের।
তবে পেসার রাহী সুইং পেতে থাকেন খুব। সেই সুইংয়েই দিনের শুরুতে আঘাতটা হানেন তিনি। তার বল তিরিপানোর ব্যাটের কোনায় লেগে জমা পড়ে উইকেটকিপার লিটন দাসের হাতে। ৩১ বলে ৮ রানে ফিরেছেন তিরিপানো।
এর পর নতুন নামা এনডিলোভুকেও থিতু হতে দেননি রাহী। লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে তাকে রানের খাতা খোলবার আগেই বিদায় দিয়েছেন। রাহীর পর টেস্টে প্রথমবারের মতো উইকেট শিকার করেন তাইজুল। বাঁহাতি স্পিনার লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেছেন টিশুমাকে (০)।
চাকাভা অপরপ্রান্তে টিকে দ্রুত কিছু রান তোলার চেষ্টা করেছেন। এই দ্রুত গতিতে রান তোলার চেষ্টায় উড়িয়ে মারতে গিয়েই তালুবন্দী হয়েছেন তাইজুলের বলে। নাঈম হাসান তার ক্যাচটি নিলে ২৬৫ রানেই শেষ হয় জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংস।চাকাভা ফিরেছেন ৩০ রান করে। দ্বিতীয় দিন প্রায় দেড় ঘণ্টার মতো টিকেছিল জিম্বাবুয়ের প্রতিরোধ।
আগের দিন অবশ্য পুরো ৯০ ওভার ব্যাট করেছে জিম্বাবুয়ে। ৬ উইকেটে করেছে ২২৮ রান। দিনটা হয়তো স্বস্তি নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারতো সফরকারীরা। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন সেঞ্চুরি তুলে নিলেও তাকে দিনের শেষভাগে বিদায় দিয়েছেন নাঈম হাসান। ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে এই অফ স্পিনারের দারুণ স্পিনেই জিম্বাবুয়ের প্রতিরোধ বেশি স্থায়ী হতে পারেনি। নাঈম প্রথম দিন নিয়েছেন ৪ উইকেট। দুই দিন মিলে রাহী নিয়েছেন ৪টি। আর দুটি নিয়েছেন তাইজুল।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ফেব্রুয়ারি ২৩,২০২০)