বিসমিল্লাহ গ্রুপের ৭ জনকে ধরতে রেড এলার্ট
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: অর্থ পাচার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক বিসমিল্লাহ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) খাজা সোলেমান আনোয়ার চৌধুরী, তার স্ত্রী ও গ্রুপের চেয়ারম্যান নওরীন হাবিবসহ সাত আসামিকে ধরতে রেড এলার্ড জারির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
পুলিশের আইজিসহ সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
অন্য পাঁচ আসামি হলেন- বিসমিল্লাহ গ্রুপের পরিচালক ও খাজা সোলেমানের বাবা সফিকুল আনোয়ার চৌধুরী, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আকবর আজিজ মুতাক্কি, মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আবুল হোসেন চৌধুরী, ব্যবস্থাপক রিয়াজউদ্দিন আহম্মেদ, নেটওয়ার্ক ফ্রেইট সিস্টেম লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন।
মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না, মাহজাবিন রাব্বানী দীপা।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক জানান, এ মামলায় অপর আসামি জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা এস এম শোয়েব-উল-কবীরের জামিন আবেদনের শুনানিকালে আদালত এ আদেশ দিয়েছেন।
দুদকের আইনজীবী হাসান হাসান আজিম জানান, সাত দিনের মধ্যে পলাতক এই সাত আসামিকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে তারা যদি দেশত্যাগ করে থাকেন তাহলে ইন্টারপোলের সহযোগিতায় তাদের গ্রেপ্তারে রেড এলার্ড জারি নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
২০১৮ সালে ১০ সেপ্টেম্বর অর্থ পাচার মামলায় বিসমিল্লাহ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) খাজা সোলেমান আনোয়ার চৌধুরী, তার স্ত্রী ও গ্রুপের চেয়ারম্যান নওরীন হাবিবসহ নয়জনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছিলেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০।
এই কারাদণ্ডের পাশাপাশি আসামিদের ৩০ কোটি ৬৭ লাখ ২৩ হাজার ৩৭৩ টাকা অর্থদণ্ড দেয় আদালত।
অন্যরা হলেন, বিসমিল্লাহ গ্রুপের পরিচালক ও খাজা সোলেমানের বাবা সফিকুল আনোয়ার চৌধুরী, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আকবর আজিজ মুতাক্কি, মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আবুল হোসেন চৌধুরী, ব্যবস্থাপক রিয়াজউদ্দিন আহম্মেদ, নেটওয়ার্ক ফ্রেইট সিস্টেম লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন এবং জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা মোস্তাক আহমদ খান এবং এস এম শোয়েব-উল-কবীর।
এর মধ্যে জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা মোস্তাক আহমদ খান এবং এস এম শোয়েব-উল-কবীর আদালতে আত্মসমর্পন করেন। পরে তারা হাইকোর্টে আবেদন করেন।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ফেব্রুয়ারি ২৫,২০২০)