দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: নয়াদিল্লিতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বিরোধী ও সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে এক পুলিশ ও শিশু রয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন প্রায় ২০০ জন।

বুধবার ভোর সাড়ে ৪টা থেকে নতুন করে পাথর নিক্ষেপ শুরু হয় উত্তর-পূর্বের ব্রহ্মপুরী-মুস্তাফাবাদ এলাকায়। গোকুলপুরীতে একটি দোকানে আগুন দেয়া হয়। ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এদিকে জোহরিপুরায় ফ্ল্যাগমার্চ করেছে স্থানীয় পুলিশ। এছাড়া গোকুলপুরীর ভাগীরথী বিহার এলাকায় ফ্ল্যাগমার্চ করে সিআরপিএফ, এসএসবি, সিআইএসএফ এবং পুলিশের যৌথ বাহিনী। সীলামপুর, জাফরাবাদ, মৌজপুর, গোকুলপুরীতে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।

সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে আজ দিল্লি পুলিশের পক্ষে চারটি হাসপাতালে মোতায়েন করা পুলিশের মোবাইল নাম্বার প্রকাশ করা হয়, যাতে আহতদের সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিতে পারেন সাধারণ মানুষ।

গতরাতে কেজরিওয়ালের বাসভবন ঘেরাও করে জেএনইউ ও জামিয়া মিলিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান থেকে পানি ছোড়ে পুলিশ।

জাফরাবাদ, মৌজপুর এবং গোকুলপুর পরিদর্শন করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। টুইটে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

অন্যদিকে শাহীনবাগের বিক্ষোভকারীদের উচ্ছেদের আর্জি মার্চ পর্যন্ত মুলতবি করে, সব দলকে সংযত আচরণের পরামর্শ দিয়েছেন ভারতের সর্বোচ্চ আদালত। দিল্লি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পেশাদারিত্বের অভাব ছিলো বলেও মন্তব্য করেন সুপ্রিম কোর্ট।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ফেব্রুয়ারি ২৬,২০২০)