দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: খুলনার মেয়ে প্রিয়ন্তি দেবনাথ পূজার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধলেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার সৌম্য সরকার। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করলেন এ তারকা ক্রিকেটার। জমকালো আয়োজনে খুলনা ক্লাব বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে ফেললেন তিনি। সনাতন ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে রাত ১১টায় সৌম্য সরকারের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।

জাতীয় দলের এ তারকা ক্রিকেটারের শুভ পরিণয়ের অনুষ্ঠানটি ছিল পারিবারিক মিলনমেলাও। তবে বিয়ের কাজটা সম্পন্ন করতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে সৌম্য সরকারকে। এক অপ্রীতিকর ঘটনা এ আনন্দ অনুষ্ঠানকে কিছুটা হলেও ম্লান করেছে। আর এই অপ্রীতিকর ঘটনার ভুক্তভোগী খোদ সৌম্যর বাবা।

ঘটনার সূত্রপাত মোবাইল চুরিকে কেন্দ্র করে। খুলনা ক্লাবে স্বাভাবিকভাবেই কাল ছিল প্রচণ্ড ভিড়। খুলনা ক্লাবে প্রায় ১২ হাজার মানুষের উপস্থিতির খবর পাওয়া গেছে। আর এত বিপুল সংখ্যক বরযাত্রী গেট দিয়ে ঢোকার সময় সৌম্যর বাবা কিশোরীমোহন সরকার, বরযাত্রী দীনবন্ধু মিত্রসহ মোট সাতজনের মোবাইল খোয়া যায়। এ সময় হারিয়ে যাওয়া মোবাইলে ফোন দিয়ে এক চোরকে হাতেনাতে ধরেও ফেলা হয়।

তল্লাশি করে পাওয়া যায় আরও ৫টি ফোন। বিষয়টি খুলনা ক্লাব কর্তৃপক্ষকে জানান সৌম্যর ভাই প্রণব সরকার। তবে তিনি অভিযোগ করেন, খুলনা ক্লাবের লোকজন বিষয়টি নিজেদের ঘাড়ে নিয়ে তাঁদের ওপর চড়াও হন এবং অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন।

এই ঘটনায় খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম বাহার বলেন, ‘মোবাইল চুরিকে কেন্দ্র করে খুলনা ক্লাবের স্টাফ ও বরযাত্রীদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। সেখানে কাউকে মারধরের ঘটনা ঘটেনি, তবে ভিড়ের মধ্যে কারও গায়ে একটু ধাক্কা লাগতে পারে। দুই চোর থানায় আটক আছে। তাঁদের কাছ থেকে পাঁচটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। পরে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ফেব্রুয়ারি ২৭,২০২০)