দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: পুলিশ পরিবারের যোগ্য সন্তান ও পোষ্যদের চাকরিতে অগ্রাধিকার দেয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। তিনি বলেন, এর পাশাপাশি পুলিশ কল্যান ট্রাস্টের মাধ্যমে আমাদের সন্তানদের জন্য স্কলারশিপ ও পরিবারের জন্য আর্থিক সুবিধা আরো বাড়ানো হবে।’

রোববার (১ মার্চ) রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজ কনভেনশন হলে ‘মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার; পুলিশ হবে জনতার’ স্লোগানকে সামনে রেখে ‘পুলিশ মেমোরিয়াল ডে’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

আইজিপি বলেন, ‘পুলিশ বাহিনীর যতোগুলো অনুষ্ঠান হয় তার মধ্যে এই অনুষ্ঠানটি অত্যন্ত বেদনার। এ দিন তাদের যেসব সামাজিক অর্থনৈতিক গল্প শুনে থাকি সেগুলো সত্যিকার অর্থে মর্মান্তিক।’

জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, ‘প্রতিটি ক্রান্তিকালে পুলিশ সদস্যরা তাদের প্রাণ বিসর্জন করেছেন। একাত্তরে ২৫ মার্চ কালোরাতে প্রথম প্রতিরোধ করে রাজারবাগ পুলিশ লাইন, প্রথম বুলেটটিও লাগে পুলিশের বুকে। এরপর ১২শ সদস্য দীর্ঘ ৯ মাসে তাদের জীবন বিসর্জন দেন। পরবর্তীতে সন্ত্রাস দমন করতে গিয়ে আরো ১৯ জন পুলিশ সদস্য নিহত হন এবং জঙ্গী প্রতিরোধ করতে নিয়ে ৯ জন মারা গেছেন।’

তিনি বলেন, ‘নিহত পুলিশ সদস্যদের সন্তানদের চাকরির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেয়ার পাশাপাশি অবসর ও দায়িত্ব পালনকালে মারা গেছেন এমন সদস্যদের সন্তানদের পড়াশুনা নিয়মিত করা ও উচ্চতর ডিগ্রী অর্জনে বৃত্তি চালুর পরিকল্পনা চলছে। আহত ও পঙ্গু সদস্যদের চিকিৎসার পাশাপাশি বাহিরে সকল ইউনিটেও মেডিকেল সুবিধাদি নিশ্চিত করা হচ্ছে।’ যেসব পুলিশ সদস্যের সন্তানরা চাকরিযোগ্য তাদের একটি ডাটাবেজ করারও নির্দেশনা দেন তিনি।

এর আগে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে 'পুলিশ মেমোরিয়াল ডে'-এর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এরপর ১৭৯টি পরিবারের সদস্যদের মাঝে ৫০,০০০ টাকার নগদ এফডিআর, ক্রেষ্ট ও সনদ প্রদান করেন পুলিশের মহাপরিদর্শক। এ সময় পুলিশ মহাপরিদর্শক পরিবারের লোকদের দুরবস্থার কথাও শোনেন।

দিনটিকে সারাদেশে একসাথে পালন করছে পুলিশ। কেন্দ্রীয় ভাবে ঢাকা, পাশাপাশি রেঞ্জ ও জেলা পর্যায়ে পালিত হচ্ছে দিবসটি।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০১ মার্চ,২০২০)