দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় স্ত্রীসহ জামিন পাওয়ার পর বুধবার (৪ মার্চ) পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পিরোজপুর -১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম এ আউয়াল।

তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশন আমাদের বিরুদ্ধে যে তিনটি মামলা করেছে তা মিথ্যা। এ মামলায় হাইকোর্টে আট সপ্তাহের জামিন নেই। এরপর শ ম রেজাউল করিম দ্বারা প্রভাবিত হয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে রিট টু আপিল দায়ের করে এবং শুনানিতে জামিন খারিজ হয়ে যায়।’ তবে বর্তমানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘এ কে এম এ আউয়ালের সব অভিযোগ মিথ্যা।’

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করার সময় এ কে এম এ আউয়াল বলেন, ‘গত ২৯ ফেব্রুয়ারি জেলা জজ আব্দুল মান্নানকে নিয়ে নিজের বাসায় বৈঠক করেন শ ম রেজাউল করিম। ১ মার্চ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এস এম বেলায়েত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক খান পাননা এবং প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন মুজিববর্ষ পালনের জন্য জেলা জজের আমন্ত্রণে তার সঙ্গে আলাপ করতে যান। সেদিন আলোচনার এক পর্যায়ে জজ সাহেব বলেন, আমার ও আমার স্ত্রীর জামিনের বিষয়ে তিনি বিবেচনা করতে পারবেন না, শ ম রেজাউল করিমের নিষেধ আছে।’

আউয়াল আরও দাবি করেন, ‘শ ম রেজাউল করিম গণপূর্তমন্ত্রী হওয়ার পর তার ভাই ও ভাইয়ের বন্ধু ক্যাসিনো সম্রাট জি কে শামীমের কাছ থেকে গাড়ি নিয়েছে।’

এ বিষয়ে শ ম রেজাউল করিম জেলা জজ আব্দুল মান্নানের সঙ্গে গোপন বৈঠক করার বিষয়টি সত্য নয় বলে জানান। তিনি বলেন, ‘মন্ত্রী হওয়ার পরে কোনও নিয়োগবাণিজ্য, কমিশনবাণিজ্য করি নাই, করবোও না ইনশাআল্লাহ। আমি আইন পেশায় নতুন নই। এ পেশা থেকে স্বচ্ছতার সঙ্গে আয় করেছি। সে আয় থেকে জমি কিনেছি। গাড়ি নেওয়ার যে কথা তিনি (এ কে এম এ আউয়াল) বলেছেন তাও মিথ্যা অভিযোগ। তিনি আরও যেসব অভিযোগ করেছেন তাও ভিত্তিহীন।’

প্রসঙ্গত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা দুর্নীতির মামলায় এ কে এম এ আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীন মঙ্গলবার (৩ মার্চ) পিরোজপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। বিচারক মো. আব্দুল মান্নান দুপুর পৌনে ১২টায় তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ওই আদেশের পরপরই আউয়াল দম্পতির আইনজীবীরা আদালত কক্ষে হট্টগোল করেন। আদালত প্রাঙ্গণে ও শহরে আউয়ালের সমর্থকরা বিক্ষোভ করেন। এর পরপরই জেলা জজ মো. আব্দুল মান্নানকে আইন মন্ত্রণালয় স্ট্যান্ড রিলিজ করে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৪ মার্চ,২০২০)