সিলেট প্রতিনিধি: ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইনিংস খেললেন লিটন দাস। তামিম ইকবাল পেলেন টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। দুজন মিলে উদ্বোধনী তো বটেই, গড়লেন ওয়ানডেতে যেকোনও উইকেটে দেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি। রেকর্ডময় ম্যাচে হলো রান উৎসব। তাই বৃষ্টির কারণে ৪৩ ওভারে নেমে আসা ম্যাচেও বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৩২২।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের তৃতীয় ওয়ানডেটি অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফি মুর্তজার শেষ ম্যাচ। তার নেতৃত্বের শেষটা জয়ে রাঙানো স্বপ্ন দলের সব খেলোয়াড়ের। তবে লিটন-তামিম মিলে যেটা করলেন, সেটা হয়তো স্বপ্নেও ভাবেনি কেউই। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি করে লিটন খেললেন ১৭৬ রানের ঝলমলে ইনিংস। আর তামিম? তাকে তো আউটই করতে পারেননি জিম্বাবুয়েন বোলারা। টানা দ্বিতীয় শতক পূরণ করে বাঁহাতি ওপেনার অপরাজিত থাকেন ১২৮ রানে।

যেভাবে মারতে চেয়েছেন, ব্যাট শুনেছে তার কথা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দানবরূপেই হাজির হয়েছিলেন লিটন দাস। নিজের তো বটেই, ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইনিংস খেলে তবে থেমেছেন এই ওপেনার। আউট হওয়ার আগে তিনি খেলে গেছেন ১৭৬ রানের ঝলমলে ইনিংস।

বৃষ্টির পর ব্যাট হাতে চার-ছক্কার বৃষ্টি ঝরিয়েছেন লিটন। জিম্বাবুয়ে বোলারদের ওপর ঝড় তুলে ক্যারিয়ারের প্রথম দেড়শ ছাড়ানো ইনিংস খেলেন। এরপর আগের ম্যাচে দেশের সর্বোচ্চ ওয়ানডে ইনিংস খেলা তামিমকে পেছনে ফেলেন। অতঃপর কার্ল মুম্বার বলে লং-অনে ধরা পড়েন লিটন। ১৪৩ বলের ইনিংসটি উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান সাজান ১৬ চার ও ৮ ছক্কায়।

বিদায় নেওয়ার আগে তামিমের সঙ্গে গড়ে যান ২৯২ রানের ওপেনিং জুটি। যেকোনও উইকেটে এটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি।

তামিম কিন্তু থামেননি। আগের ম্যাচ শেষ করেছিলেন যে জায়গায়, সেই জায়গা থেকেই শুরু করলেন শেষ ওয়ানডে। আবারও সেঞ্চুরি পেয়েছেন বাঁহাতি ওপেনার। সিলেটের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ১৫৮ রানের ইনিংস খেলা তামিম পেলেন টানা দ্বিতীয় শতক। ৯৮ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৩তম সেঞ্চুরি পূরণ করা তামিম শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ১২৮ রানে। ১০৯ বলের ইনিংসটি তিনি সাজান ৭ চার ও ৬ ছক্কায়।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৬ মার্চ,২০২০)