দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক:  রাজধানীর ওয়ারীতে সিলভারডেল স্কুলের ছাত্রী সামিয়া আফরিন সায়মাকে (৬) ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার রায় আজ ঘোষণা করা হবে।

ঢাকার ১ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কাজী আব্দুল হান্নান এ রায় ঘোষণা করবেন।

রায়ে মামলার একমাত্র আসামি হারুন আর রশিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চান সায়মার মা সানজিদা আক্তার ও বাবা আব্দুস সালাম।

শিশু সায়মার মা সানজিদা আক্তার বলেন, ‘মেয়েকে হারিয়ে আমি ভালো নেই। মেয়ের চিন্তায় আমার ঘুম হয় না। আমার নিষ্পাপ মেয়েকে হারুন হত্যা করেছে। তার মৃত্যুদণ্ড হলে আমার মনটা একটু শান্তি পাবে।’

সায়মার বাবা আব্দুস সালাম বলেন, ‘আর কোনো ব্যক্তি যেন কোনো শিশুকে ধর্ষণ করে হত্যা করতে না পারে, সেজন্য হারুনের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চাই। আশা করি, আদালত রায়ে হারুনের মৃত্যুদণ্ড দেবেন।’

দ্রুত সময়ের মধ্যে এই মামলাটির বিচার সম্পন্ন হতে যাচ্ছে। চলতি বছরের ২ জানুয়ারি সায়মা হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়, যা শেষ হয় ১৯ ফেব্রুয়ারি। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থন শেষে যুক্তিতর্কের জন্য ৫ মার্চ দিন রাখেন আদালত। সেদিন রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য ৯ মার্চ দিন ধার্য করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষ আশা করছে মামলার একমাত্র আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি হবে। ওই আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল বারী বলেন, ‘সায়মা হত্যায় আসামির দায় আমরা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। ধর্ষণের বিষয়ে ডিএনএ প্রতিবেদনেও প্রমাণিত হয়েছে। তাছাড়া আসামি ঘটনার সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাই এই আসামির মৃত্যুদণ্ড হবে বলে আমরা পুরোপুরি আশাবাদী।’

দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচার শেষ হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর দুই মাসের মাথায় এই মামলার রায় হতে যাচ্ছে। আমরা মামলাটি শেষ করতে সচেষ্ট ছিলাম। একটা শিশু যে নৃশংসতার শিকার হয়েছে, সেই ঘটনায় অপরাধীর শাস্তি যেন বিচার ব্যবস্থায় একটি নজির হয়ে থাকে সেই চেষ্টা ছিল। সাক্ষীরাও যথাসময়ে সাক্ষ্য দিয়ে বিচার কাজে সহযোগিতা করেছেন। সবমিলিয়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে এই মামলার বিচার শেষ হওয়াকে আমি ব্যক্তিগতভাবে বিচার ব্যবস্থায় একটি বিরল দৃষ্টান্ত বলে মনে করি।’

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৯ মার্চ,২০২০)