দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। ইতোমধ্যে ১০৩টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে করোনার অস্তিত্ব শনাক্ত হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রতিনিয়ত বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। প্রাণঘাতী হয়ে ওঠা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সোমবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চার হাজার ২৭ জনে। অপরদিকে ৬৪ হাজার ৮১ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বিশ্বে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ১৪ হাজার ৪২২ জন।

এই ভাইরাসে শুধুমাত্র চীনের মূল ভূখণ্ডেই আক্রান্ত হয়েছেন ৮০ হাজার ৭৫৪ জন। আর মারা গেছেন ৩ হাজার ১৩৬ জন। চীনের বাইরে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও নিহত হয়েছেন ইতালিতে। সেখানে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা নয় হাজার ১৭২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৪৬৩ জনের। ইতালির পরেই অবস্থান করছে দক্ষিণ কোরিয়া ও ইরান। দক্ষিণ কোরিয়ায় এখন পর্যন্ত ৭ হাজার ৫১৩ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ৫৪ জন। ইরানে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজার ১৬১ এবং মারা গেছে ২৩৭ জন।

এছাড়া বাংলাদেশ, ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেন, সিঙ্গাপুর, কুয়েত, বাহরাইন, যুক্তরাজ্যে, মালয়েশিয়া, কানাডা, সুইজারল্যান্ডসহ ১০৩টি দেশ ও অঞ্চলে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়। নিউমোনিয়ার মত লক্ষণ নিয়ে নতুন এ রোগ ছড়াতে দেখে চীনা কর্তৃপক্ষ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে সতর্ক করে। এরপর ১১ জানুয়ারি প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ঠিক কীভাবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়েছিল- সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নন বিশেষজ্ঞরা। তবে ধারণা করা হচ্ছে, উহানের একটি সি ফুড মার্কেটে কোনো প্রাণী থেকে এ ভাইরাস প্রথম মানুষের দেহে আসে। তারপর মানুষ থেকে ছড়াতে থাকে মানুষে।

করোনাভাইরাস মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এর লক্ষণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে, সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। উপসর্গগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মত। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের পুরোনো রোগীদের ক্ষেত্রে ডেকে আনতে পারে মৃত্যু।

করোনাভাইরাস এর কোনো টিকা বা ভ্যাকসিন এখনো তৈরি হয়নি। ফলে এমন কোনো চিকিৎসা এখনও মানুষের জানা নেই, যা এ রোগ ঠেকাতে পারে। যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তাদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলাই আপাতত এই রোগ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায়।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১০মার্চ,২০২০)