‘বিমানবন্দরে করোনা ভাইরাস মুক্ত সার্টিফিকেট বিক্রি হচ্ছে’
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বিমানবন্দরে করোনা ভাইরাস মুক্ত সার্টিফিকেট বিক্রি হচ্ছে বলে দাবি করছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘বিমানবন্দরে টাকার বিনিময়ে করোনা ভাইরাস মুক্ত সার্টিফিকেট বিক্রি করছেন এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা। এজন্যই ইতালি থেকে করোনা ভাইরাস নিয়ে যারা দেশে এসেছেন তাদেরকে শনাক্ত হয়নি।’
বুধবার (১১ মার্চ) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, দেশে ফেরার চার দিন পর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তারা নিজেরাই চিকিৎসকের কাছে গেলে সরকার তাদের হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
বিমানবন্দরে থার্মাল স্ক্যানার প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ‘করোনা ভাইরাস নিয়ে দেশে প্রবেশ করলে শনাক্তের কোনও যথাযথ ব্যবস্থা নেই। দেশের সীমান্ত ও স্থলবন্দর অরক্ষিত। মেগা প্রকল্পের নামে দেশে হরিলুট চললেও মানুষের জীবন বাঁচাতে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি সরকার। করোনা মোকাবিলায় কোনও কার্যকর প্রস্তুতিই নেই। ১৩টি হটলাইন আর কয়েকটি হাসপাতালে জোড়াতালির প্রস্তুতি চলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের বেশিরভাগ হাসপাতালে ভেন্টিলেটর মেশিনও নেই। চিকিৎসক ও নার্সদের নিরাপত্তা বা সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় মেডিক্যাল মাস্ক ও ইউনিফর্ম নেই। ভাইরাস প্রতিরোধী পোশাকের (পিপিই) নেই।’
রিজভী বলেন, করোনা সংক্রান্ত তথ্য ও সেবা পেতে স্বাস্থ্য অধিদফতর ১৩টি হটলাইন নম্বর চালু করেছে। তবে এই নম্বরগুলোতে ফোন করে কাউকে পাওয়া য়ায় না। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সন্দেহ, লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা দিলে সরাসরি জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সরকার। বরং বাড়িতে থেকে হটলাইন নম্বরে ফোন করলে তারাই বাড়িতে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করবে বলে জানানো হয়েছে। বাস্তবে এটা ভাওতাবাজিতে পরিণত হয়েছে।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব যখন স্বাধীনতা ঘোষণা দিতে ব্যর্থ হয় তখন কাজটি করতে জিয়াউর রহমানই এগিয়ে এসেছিলেন উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘যার টানে তিনি এ কঠিন কর্তব্যটি করলেন, তার নাম দেশপ্রেম এবং জনগণের প্রতি ভালোবাসা। তিনি ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জীবন বাজী রেখে দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা না করলে আজকে দেশের ইতিহাস ভিন্ন হতে পারতো। জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার ইতিহাস প্রমাণ করতে আদালতের রায়ের প্রয়োজন হয় না।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১১মার্চ,২০২০)