দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে কারাদণ্ড দেওয়ার ঘটনা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার এম তারিকুল ইসলামকে।

শনিবার (১৪ মার্চ) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (জেলা ও মাঠপ্রশাসন অনুবিভাগ) আ. গাফফার খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

আ. গাফফার খান বলেন, রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার প্রাথমিক তদন্ত করে রোববারের (১৫ মার্চ) মধ্যে আমাদের জানাতে বলা হয়েছে। এরপর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন অতিরিক্ত সচিব কে এম তারিকুল ইসলাম।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে তদন্তের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কার্যক্রম শুরুও করেছি। অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) আবু তাহের মো. মাসুদ কুড়িগ্রাম চলে গেছেন। আজকে রাতের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠাতে পারবো।

এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন যুগ্ম সচিব বলেন, কুড়িগ্রামের বিষয়টি আমাদের জন্য খুবই বিব্রতকর। কোনোভাবেই মধ্যরাতে টাস্কফোর্সের অভিযান আইনসম্মত নয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, আরিফের ওপর যদি অন্যায় হয়ে থাকে, তবে অবশ্যই কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসককে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়।

আরিফুল ইসলামের পরিবারের সদস্যরা জানান, রাত ১২টার দিকে জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমার নেতৃত্বে কয়েকজন আনসার সদস্য শহরের চড়ুয়াপাড়ার বাসা থেকে আরিফুলকে ধরে নিয়ে যায়। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে তার বাসা থেকে আধা বোতল মদ ও দেড়শত গ্রাম গাঁজা রাখার দায়ে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

আরিফুল ইসলামের স্ত্রী মোস্তারিমা সরদার মিতু বলেন, ‘‘রাত ১২টার দিকে ঘরের দরজা ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন। এক পর্যায়ে তারা জোর করে ঘরে ঢুকে আরিফুল ইসলামকে তুলে নিয়ে যান।’

প্রসঙ্গত, আরিফুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৪মার্চ,২০২০)