করোনায় ‘সবচেয়ে কড়া’ পদক্ষেপ নিলো নিউজিল্যান্ড
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: রোববার মধ্যরাত থেকে নিউজিল্যান্ডে আসা প্রত্যেককে অবশ্যই ‘সেলফ-আইসোলেট’ হতে হবে। শনিবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এই ঘোষণা দেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন।
বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয় জেসিন্ডা আরডার্ন জানিয়েছেন, করোনা প্রতিরোধে তার সরকারের নেয়া এই নতুন পদক্ষেপ নিউজিল্যান্ডের অধিবাসীদের জন্যও প্রযোজ্য হবে। তবে এ ক্ষেত্রে ছাড় পাবেন প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের অধিবাসীরা। কারণ, সেখানে এখন পর্যন্ত এই ভাইরাস হানা দেয়নি।
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নেয়া নতুন এই পদক্ষেপকে বিশ্বের সবচেয়ে কঠোর বলে বর্ণনা করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি কোনো ক্ষমা চাইছি না। কারণ, এখনকার সময়টা অভূতপূর্ব।’
জেসিন্ডা আরডার্ন জানান, সরকারের নেয়া পদক্ষেপ ১৬ দিনের মধ্যে পর্যালোচনা করবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। করোনাভাইরাস নিউজিল্যান্ডেও হানা দিয়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছয় ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে।
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জানান, নতুন বিধিনিষেধের আওতায় মানুষ আসে, পণ্য নয়। আকাশ ও নৌপথে অপরিহার্য পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিকভাবে চলবে। জেসিন্ডা আরডার্ন তার দেশের জনগণকে করমর্দন, কোলাকুলি ও নাকে নাক লাগানোর মতো অভিবাদন পরিহার করতে আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৪৩৬ জনে। ১৩২টি দেশে এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ৪৫ হাজার ৮১০ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৭২ হাজার ৫৩০ জন।
শনিবার পরিসংখ্যান ভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ডোমিটারস এ তথ্য জানায়।
ওয়েবসাইটে জানানো হয়, বর্তমানে এ ভাইরাসে আক্রান্ত ৬৭ হাজার ৮৪৪ জন মানুষ চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে ৬ হাজার ৮২ জনের অবস্থা সঙ্কাটাপন্ন আর ৬১ হাজার ৬০১ জনের অবস্থা স্থিতিশীল।
চীনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমে এলেও ইউরোপে এটি মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ভাইরাসে সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে ইতালি। এখন পর্যন্ত ইতালিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ২৬৬ জনের।
এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২৫০ জনের, যা ইতালিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে একদিনের হিসাবে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর খবর। এছাড়া দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ৬৬০ জন মানুষ।
ইরানেও করোনা পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে। সেখানে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৫১৪ জনে পৌঁছেছে। এ ছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৩৬৪ জন।
দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২ জনে। এ ছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা আট হাজার ৮৬ জনে পৌঁছেছে।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৪মার্চ,২০২০)