দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: আগের সপ্তাহের ন্যায় চলতি সপ্তাহেও শেয়ারবাজারে করোনাভাইরাস আতংক বিদ্যমান। যে আতংকে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার (১৫ মার্চ) শেয়ারবাজারে বড় পতন ঘটেছে। যা দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূল্যসূচককে প্রায় ৫ বছর পরে ৪ হাজারের নিচে নিয়ে গেছে।

আজ লেনদেনের শুরুতেই ডিএসইর মূল্যসূচক ডিএসইএক্সে বড় পতন ঘটে। লেনদেনের মাত্র ১১ মিনিটেই কমে যায় ২০৯ পয়েন্ট। তবে দিন শেষে ১৬১ পয়েন্ট কমে দাড়িঁয়েছে ৩৯৬৯ পয়েন্টে। যা প্রায় ৪ বছর সাড়ে ১০ মাস বা ২০১৫ সালের ৫ মে’র মধ্যে সর্বনিম্ন।

ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৩১ পয়েন্ট, ডিএসই-৩০ সূচক ৪৮ পয়েন্ট এবং সিডিএসইটি সূচকটি ২৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৯২৬, ১৩৩৩ ও ৭৮৯ পয়েন্টে।

এদিকে আজ ডিএসইর বাজার মূলধন ১০ হাজার ২৪৮ কোটি ৮৯ লাখ ৬৭ হাজার টাকা কমে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ১১ হাজার ১১৩ কোটি ৬৭ লাখ ১৬ হাজার টাকা। যা বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে ছিল ৩ লাখ ২১ হাজার ৩৬২ কোটি ৫৬ লাখ ৮৩ হাজার টাকায়।

ডিএসইতে আজ টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৩৭৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। যা আগের দিন থেকে ৩৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা কম। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪০৯ কোটি ৪২ লাখ টাকার।

ডিএসইতে আজ ৩৫৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০টির বা ২.৮২ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। দর কমেছে ৩৩৮টির বা ৯৫.২১ শতাংশের এবং ৭টি বা ১.৯৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

ডিএসইতে আজ টাকার পরিমাণে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ১৩ কোটি ১৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে মুন্নু সিরামিকের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০ কোটি ২৯ লাখ টাকার গ্রামীণফোন এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ৯ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ওরিয়ন ফার্মার।

এছাড়া ডিএসইতে টপটেন লেনদেন থাকা অপর কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- স্কয়ার ফার্মা, বিএটিবিসি, সামিট পাওয়ার, লাফার্জহোলসিম, ওরিয়ন ইনফিউশন, ব্র্যাক ব্যাংক ও ন্যাশনাল টিউবস।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ৪৮৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ১৫৪ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৫০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১২টির, কমেছে ২৩৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪টির দর। আজ সিএসইতে ২৪ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৫মার্চ,২০২০)