আজহারের মৃত্যু পরোয়ানা কারাগারে
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যু পরোয়ানা কারাগারে পৌঁছেছে।
সোমবার দুপুরের পর হাইকোর্ট থেকে পরোয়ানা গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে পৌঁছায় বলে জানা গেছে। তবে এ বিষয়ে এখনো কারা কর্তৃপক্ষের আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার সাইদ আহম্মেদ বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান। দুপুর দুইটার পর হাইকোর্ট থেকে লাল কাপড়ে মোড়ানো পরোয়ানা গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে পৌঁছানো হয়। এখন এটি তাকে পড়ে শোনানো হবে। তবে কখন পড়ে শোনানো হবে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আজহারের বিরুদ্ধে ২৪৫ পৃষ্ঠার রায় প্রকাশ করা হয়।
এর আগে গতকাল এ টি এম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ড আপিল বিভাগে বহালের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়।
গত বছরের ৩১ অক্টোবর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ আজহারুল ইসলামের আপিল আবেদন খারিজ করে দেন। ফলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল থাকে।
এর আগে ২০১৫ সালের ২৯ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আপিল দায়ের করেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আজহারুল ইসলাম। দীর্ঘদিন উভয়পক্ষের শুনানি শেষে গত বছরের ১০ জুলাই প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ মামলাটি যেকোনো দিন রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন (সিএভি)। এরপর ৩১ অক্টোবর রায় ঘোষণার জন্য মামলাটি আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ওঠে।
২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর তৎকালীন চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল আজহারুলের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করে রায় দেন।
জামায়াত নেতা আজহারের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগসহ ছয়টি অভিযোগ আনে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন। ২, ৩ ও ৪ নম্বর অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল। আর ৫ নম্বর অভিযোগে ২৫ বছর জেল ও ৬ নম্বর অভিযোগে পাঁচ বছরের জেল দেওয়া হয় তাকে। আর ১ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৬মার্চ,২০২০)