করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট আকারে প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গেজেট প্রকাশ না করলে করোনার বিষয়ে কী কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন আদালত।
বুধবার এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে এ নির্দেশনা দেন আদালত।
আদালত বলেছেন, যেদিন রোগের গুরুত্ব জানা গেছে, ওইদিনই মহামারি ঘোষণা করা উচিৎ ছিল। আগামীকাল এ বিষয়ে করা রিটের ওপর হাইকোর্ট আদেশ দেবেন।
এদিকে বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া দেশে নতুন ৪ জনসহ এখন পর্যন্ত ১৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। নতুন আক্রান্ত তিনজনের দুজন ইতালিফেরত অন্যজন কুয়েত থেকে এসেছেন বলে জানিয়েছেন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।
প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বুধবার এক ব্রিফিংয়ে বলেন, যিনি মারা গেছেন তার বয়স ৭০ এর বেশি। তিনি ফুসফুস, কিডনি, হৃদপিন্ডের সমস্যা ভুগছিলেন। বুধবার তিনি মৃত্যুবরণ করেন। স্বাস্থ্য সতর্কতা মেনে তাকে দাফন করা হবে।
তিনি জানান, এখন পর্যন্ত ১৬ জন আইসোলেশনে আছেন। আর ৪২ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
সেব্রিনা বলেন, বারণ করা সত্ত্বেও আইইডিসিআরে আরও ২৫ জন এসেছিল পরীক্ষা করাতে। নতুন করে ৪৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এনিয়ে মোট ৩৪১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ সময় তিনি বলেন, বিদেশ থেকে ফেরার পর ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকুন। না হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে সেটা নেওয়া শুরু হয়েছে।
এখন থেকে হটলাইনের পাশাপাশি ইমেইল ও ফেসবুকেও যোগাযোগ করা যাবে। এছাড়া একটি অ্যাপ ডেভেলপ করা হচ্ছে বলেও জানান আইইডিসিআর পরিচালক।
ব্রিফিংয়ে অসুস্থ অবস্থায় গণপরিবহন ব্যবহার করা পরিহার করতে বলা হয়েছে। বাড়িতে বয়স্ক অসুস্থ ব্যক্তিদের প্রতি আরও বেশি যত্নবান ও তাদেরকে সতর্কতার সঙ্গে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত ৭৯৮৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৬৫টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাস শুধু চীনেই মারা গেছেন ৩২২৬ জন। এর পর সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা ইতালিতে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ২১৫৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
ইতালিতে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৪৫ জন, নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন সাড়ে ৩৫০০ জনেরও বেশি। এরপরেই রয়েছে ইসলামিক দেশ ইরান। দেশটিতে একদিনে মারা গেছেন ১৩৫ জনসহ মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৮৮ জন।
ইতালির পর স্পেন, জার্মানি, ফ্রান্সের অবস্থাও খুব করুণ। স্পেনে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯১ জনের মৃত্যুসহ মোট মৃত্যু ৫৩৩ জনের। এছাড়া জার্মানিতে ২৬ জন, ফ্রান্সে ১৭৫ জন, যুক্তরাষ্ট্রে ১০৩ জন, দক্ষিণ কোরিয়ায় মৃত্যু ৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৮মার্চ,২০২০)