সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন আইসোলেশনে থাকা দুজন
বাগেরহাট প্রতিনিধি: করোনা সন্দেহে বাগেরহাট সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে থাকা তরুণ-তরুণী সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন। এর আগে শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশনে থাকা বৃদ্ধের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি না থাকায় তাকেও বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির মঙ্গলবার সকালে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ৩৮টি দেশ থেকে ৪২০০ প্রবাসী বাড়ি ফিরেছেন। এর অধিকাংশ ভারত থেকে এসেছেন। এদের মধ্যে ১১৪৪ প্রবাসী হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। ইমেগ্রেশন পুলিশের দেয়া তালিকা অনুযায়ী প্রবাসীদের বাড়ি বাড়ি খুঁজে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতের জন্য কাজ করছি। আমরা তালিকা পাওয়ার আগেই প্রায় ৮০০ প্রবাসী ১৪ দিন অতিবাহিত করেছেন। তাই তাদের আর হোম কোয়ারেন্টাইন প্রয়োজন নেই। এছাড়া বাগেরহাট সদর হাসপাতালে করোনা সন্দেহে যে দুজন ভর্তি ছিলেন। তারা সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন। এখন পর্যন্ত বাগেরহাট জেলায় কোভিড-১৯ (করোনাভাইরাস) রোগী মুক্ত।
তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও যদি আক্রন্ত হয় তাহলে চিকিৎসার জন্য আমাদের সর্বোচ্চ ব্যবস্থা রয়েছে। বাগেরহাটের চিকিৎসক ও নার্সদের পিপিই (পার্সোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট) সঙ্কট ছিল। তার সমাধান হয়েছে। স্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভূমি বুক ক্যাফে ও সিটি ল্যাব নামক দুটি প্রতিষ্ঠান আমাদের ৪০০ মাস্ক ও বেশকিছু পিপিই সরবরাহ করেছে। সব মিলিয়ে করোনার বিষয়ে আতঙ্কিত না হয়ে, সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস বিশ্বের ১৯৫টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। এখন পর্যন্ত এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪৮ এবং মারা গেছে ১৬ হাজার ৫১৪ জন। অপরদিকে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ১ লাখ ২ হাজার ৬৯ জন।
করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ইতালিতে। ইউরোপের এই দেশটিতে মৃত্যুর মিছিল থামছেই না। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে ৬০১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে সেখানে মৃত্যু ৬ হাজার ৭৭।
দেশটিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ৭৮৯। ফলে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬৩ হাজার ৯২৭। এছাড়া চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৭ হাজার ৪৩২ জন।
এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে চীনে। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮১ হাজার ১৭১ এবং মারা গেছে ৩ হাজার ২৭৭ জন।
অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৪৩ হাজার ৭৩৪ এবং মারা গেছে ৫৫৩ জন। স্পেনে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫ হাজার ১৩৬ এবং মারা গেছে ২৩১১ জন। জার্মানিতে আক্রান্ত ২৯ হাজার ৫৬ এবং মৃত্যু ১২৩। ইরানে আক্রান্তের সংখ্যা ২৩ হাজার এবং মারা গেছে ১৮১২ জন।
অপরদিকে ফ্রান্সে মোট আক্রান্ত ১৯ হাজার ৮৫৬ এবং মারা গেছে ৮৬০ জন। দক্ষিণ কোরিয়ায় মোট আক্রান্ত ৮ হাজার ৯৬১ এবং মৃত্যু ১১১। সুইজারল্যান্ডে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৭৯৫ এবং মৃত্যু ১২০, যুক্তরাজ্যে আক্রান্ত ৬৬৫০ এবং মৃত্যু ৩৩৫, কানাডায় আক্রান্ত ২০৯১ এবং মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৪মার্চ,২০২০)