সেই ডিসিসহ চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা, বেতন বন্ধ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: রাতে সাংবাদিককে ঘর থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে শারীরিক নির্যাতন ও ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেওয়ার ঘটনায় কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসি মোছা. সুলতানা পারভীনসহ চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে কেন তাদের চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হবে না- তা জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেয়া হয়েছে। এজন্য ১০দিন সময় দেওয়া হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। বিভাগীয় প্রসেডিংয়ের অংশ হিসেবে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশও দেয়া হয়েছে। এর ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
ওই চার কর্মকর্তা এখন পদায়নের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত আছেন। এজন্য তাদের বেতনও বন্ধ আছে
গত ১৩ মার্চ মধ্যরাতে অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি আরিফুল ইসলামের বাড়িতে হানা দিয়ে তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এক বছরের কারাদণ্ড দেয় জেলা প্রশাসন। তখন ঘরে কোনো তল্লাশি চালানো না হলেও পরে ডিসির কার্যালয়ে নেয়ার পর তারা দাবি করেন, আরিফুলের বাসায় আধা বোতল মদ ও দেড়শ গ্রাম গাঁজা পাওয়া গেছে। এই ঘটনা ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।
ডিসির বিরুদ্ধে নিউজ করার কারণে আরিফুলকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই নির্যাতন করা হয়েছে বলে ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের অভিযোগ। ওই ঘটনার পর ১৫ মার্চ কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অভিযুক্ত ম্যাজিস্ট্রেট সিনিয়র সহকারী কমিশনার নাজিম উদ্দিন এবং সহকারী কমিশনার রিন্টু বিকাশ চাকমা ও এস এম রাহাতুল ইসলামকে পরবর্তী পদায়নের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়। ১৬ মার্চ ডিসি সুলতানা পারভীনকে পরের পদায়নের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করে আদেশ জারি করা হয়।
গত ১৯ মার্চ সুলতানা পারভীন, তিন ম্যাজিস্ট্রেটসহ ৩৫ থেকে ৪০ জনের বিরুদ্ধে কুড়িগ্রাম সদর থানায় অভিযোগ করেন সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৬মার্চ,২০২০)