ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতির লুইস আর নেই
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বা টি-টোয়েন্টি খেলায় এই পদ্ধতি সাধারণত বৃষ্টি-প্রাকৃতিক দুর্যোগে আটকে যাওয়া ম্যাচে ব্যবহার করা হয়। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নতুন করে লক্ষ্য বেঁধে দেওয়া হয় পরে ব্যাট করা দলের জন্য।
ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতির যৌথ উদ্ভাবকের একজন টনি লুইস পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে পাড়ি দিয়েছেন পরপারে। বুধবার রাতে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮।
ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতি প্রথম ব্যবহার হয় ১৯৯৬-৯৭ সালে জিম্বাবুয়ে বনাম ইংল্যান্ডের একদিনের ম্যাচে। এই খেলায় জিম্বাবুয়ে ৭ রানে জয়ী হয়। ২০০১ সালে আইসিসি আনুষ্ঠানিকভাবে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতি গ্রহণ করে। অবশ্য এর আগেও এটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যবহার হয়ে আসছিল। এ পদ্ধতি বিখ্যাত হয়ে উঠে ৯২’ বিশ্বকাপে। ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার সেমিফাইনাল ম্যাচটি মীমাংসিত হয় ডার্কওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে। বৃষ্টির আগে ১৩ বলে ২২ রান দরকার ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। বৃষ্টির পর হিসাব এলো ১ বলে করতে হবে ২১ রান। যদি খেলার পর বলা হয়েছিল, জায়ান্টস্ক্রিনে ১ বলে ২১ রান ভুল করে উঠেছিল!
ডাকওয়ার্থ অনুযায়ী কোনও ওয়ানডে ম্যাচের ফল তখনই ঘোষিত হবে যখন উভয় ইনিংসে কমপক্ষে ২০ ওভার করে খেলা হয়ে গিয়েছে।
ইংল্যান্ডের ল্যাঙ্কাশায়ারের বোল্টনে জন্মগ্রহণ করেন টনি লুইস। ১৯৬০-এর দশকে শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিত এবং পরিসংখ্যানে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন তিনি। জানুয়ারি, ২০০৮ সালে অক্সফোর্ড ব্রুকস ইউনিভার্সিটি থেকে কোয়ান্টিটেটিভ রিসার্চ মেথডের প্রভাষক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। এরপূর্বে তিনি ইউনিভার্সিটি অব দি ওয়েস্ট অব ইংল্যান্ডের প্রভাষক ছিলেন। সেখানেই তিনি স্নাতক-পূর্ব শ্রেণীর চূড়ান্ত-বর্ষীয় প্রকল্পে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতির উদ্ভব ঘটান।
এছাড়াও তিনি ওয়েস্টার্ন অপারেশনাল রিসার্চ ডিসকাশন সোসাইটি’র সাবেক সভাপতি ছিলেন। ২০০৯ সালে ২য় আইএমএ ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে খেলাধূলায় গণিতের প্রয়োগের উপর প্রধান বক্তা ছিলেন লুইস। ক্রিকেট ও গণিতে অবদান রাখায় ২০১০ সালে ডাকওয়ার্থ ও লুইসকে এমবিই পদবি দেওয়া হয়।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০২এপ্রিল,২০২০)