দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ তার সংবাদ সম্মেলনে বলেন বিশ্বব্যাপী লকডাউন ঘোষণা করায় অর্থনীতিতে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এই লকডাউনের ফলে শিল্প উৎপাদন, রপ্তানি, সেবা খাত, পর্যটন, সরবরাহ ও চাহিদার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলছে। এর ফলে বাংলাদেশের ১০ ক্ষতির বিষয়ে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে রয়েছে-

১. আমদানি ব্যয় ও রপ্তানি আয় গত অর্থ বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫ শতাংশ কমেছে। অর্থ বছর শেষে এটা আরও কমবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

২. মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন ও ব্যাংক সুদের হার বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিলম্ব হচ্ছে। ফলে বেসরকারি বিনিয়োগ পিছিয়ে যাচ্ছে।

৩. বিমান পরিবহন ব্যবস্থা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

৪. শেয়ার বাজারের উপরও বিরূপ প্রভাব পড়ছে।

৫. বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের দাম কমে যাওয়ায় বাংলাদেশের প্রবাসী আয়ের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে।

৬. বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ ৩.০২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার হবে বলে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক জানিয়েছে।

৭. দীর্ঘ ছুটির কারণে অফিস আদালত এবং পরিবহন সেবা ব্যাহত হওয়ার স্বল্প ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ক্ষতির মুখে পড়েছে।

৮. এই ছুটি মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

৯. চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আয়ের পরিমাণ বাজেটের তুলনায় কম হবে। এর ফলে অর্থবছর শেষে বাজেট ঘাটতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।

১০. জিডিপির পরিমাণ হ্রাস পেতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এসব ক্ষতি মোকাবেলায় ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানকে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল হিসেবে ৯ শতাংশ সুদে ৩০ হাজার কোটি টাকার ঋণ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে শিল্প প্রতিষ্ঠান মালিক ৪.৫ শতাংশ ভর্তুকি এবং সরকার ৪.৫ শতাংশ ভতুর্কি দেবেন। আর ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ৪ শতাংশ সুদে ২০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৫এপ্রিল,২০২০)