লকডাউনে যৌনকর্মী বাসায় এনে শাস্তির মুখে সিটি ফুটবলার
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: ম্যানচেস্টার সিটি ও ইংল্যান্ডের রাইটব্যাক কাইল ওয়াকারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, সে জন্য তার ক্লাব তার বিরুদ্ধে নিতে যাচ্ছে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। কী কাণ্ড করেছেন ২৯ বছর বয়সী ফুটবলার? করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য সরকার ঘোষিত লকডাউনের এই সময়ে তিনি দুজন যৌনকর্মীকে বাসায় ডেকে এনে তাদের সঙ্গে মিশেছেন!
ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড দ্য সানের খবর, গত মঙ্গলবার ওয়াকার ও তার এক বন্ধু ২২০০ পাউন্ডের বিনিময়ে লুইস ম্যাকনামারা এবং ২৪ বছর বয়সী এক ব্রাজিলিয়ান যৌনকর্মীকে তার বাসায় আমন্ত্রণ জানান। মজার ব্যাপার হলো, পরের দিন বুধবার যখন দুই ‘এসকর্ট’ ওয়াকারের বাসা ছেড়ে যান, সেদিনই ম্যানচেস্টার সিটি এবং ওয়াকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জনতার কাছে আহ্বান জানান সরকারি নির্দেশিকা মেনে ঘরে থাকতে যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে করোনা সংক্রমণ রোধ করা যায় এবং সুরক্ষিত রাখা যায় করোনার সঙ্গে সরাসরি লড়াই করা জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের।
সিটির এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘বৈশ্বিকভাবে ফুটবলাররা হলো সমাজের রোলমডেল। যে যেভাবেই পারে, আমাদের ফুটবলার এবং স্টাফ মিলে সাহায্য করছি ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস) ও অন্য কর্মীদের যারা কোভিড -১৯ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। কাইলের (ওয়াকার) কার্যকলাপ পুরোপুরিই এটির বিরুদ্ধে গেছে। তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পেয়ে আমরা মর্মাহত। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি আমরা।’
করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক সংকটের এই মুহূর্তে নিজের ব্যক্তিগত জীবনের একটি বিষয় সামনে চলে আসায় ইংল্যান্ডের হয়ে ৪৮ ম্যাচ খেলা ফুটবলার অবশ্য ক্ষমা চেয়েছেন, ‘আমি বুঝতে পারছি একজন পেশাদার ফুটবলার ও রোল মডেল হিসেবে আমার দায়িত্ব কতটুকু। আমার পরিবার, ক্লাব, সমর্থক ও জনতাকে হেয় করায় আমি ক্ষমাপ্রার্থী।’
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৬এপ্রিল,২০২০)