মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি: করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই পদ্মা সেতুর ২০ ও ২১ নম্বর পিলারে বসানো হলো ২৮তম স্প্যান। এর মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতুর ৪২০০ মিটার দৃশ্যমান হলো। শনিবার সকাল ৯ টায় ‘৪-বি’ স্প্যানটি বসানো হয়। পিলার ২টির অবস্থান মুন্সিগঞ্জের মাওয়া ও মাদারীপুরে শিবচর এলাকায়।

সকাল ৮টায় শুরু হয় স্প্যান বসানোর কার্যক্রম। সকল কারিগরি কাজ শেষে সকাল ৯টায় স্প্যানটি পিলারে বসানো সম্পন্ন হয়। ২৭তম স্প্যান বসানোর ঠিক ১৪ দিনের মাথায় বসলো ২৮তম স্প্যানটি।

এর আগে শুক্রবার সকাল ৮টায় দিকে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া কুমারভোগ কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ধূসর রঙের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটিকে ‘তিয়ান-ই’ ভাসমান ক্রেনে করে নিয়ে রাখা হয় সেতুর মাঝের ১৮ ও ১৯ নম্বর পিলারের কাছে।

পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের জানান, ইতোমধ্যে পদ্মা সেতুর ৪২টি পিলারের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এসব পিলারে ৪১টি স্প্যানের মধ্যে বসানো বাকি আছে ১৪টি স্প্যান। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে ২৯ নম্বর স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের আশঙ্কা অনেকটা দূর হয়ে গেছে। করোনার মধ্যেও পুরোদমে এগিয়ে চলছে পদ্মা সেতুর কাজ। জনবলের অভাবে সেতুর কাজ বাঁধাগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করলেও তা এখন কেটে গেছে। আমাদের শ্রমিক-কর্মীর অভাব নেই। পর্যাপ্ত কর্মী পাচ্ছি। কারণ সারাদেশে সরকারি ছুটির কারণে অনেকেই বেকার হয়ে পড়েছেন। শ্রমিকদের কাজ নেই। তাই তারা কাজের সন্ধানে ছুটে আসছেন পদ্মা সেতু প্রকল্পে। কারণ আমাদের প্রকল্প এলাকা করোনা ভাইরাস মুক্ত।

‘দেশী-বিদেশী কর্মীরা স্বাভাবিকভাবেই কাজ করছেন। নদী এবং তীরে সবখানেই কাজ আর কাজ। কর্মীদের সবাই মাস্ক ব্যবহার করছেন। মাথায় নিরাপত্তা ক্যাপ আর মুখে মাস্ক। হাতে গ্লোভস নিয়ে হরদম কাজ করছেন। নিয়মিত স্পে করে ভাইরাস মুক্ত রাখা হচ্ছে সেতু এলাকা। তাই এখানে কাজ করতে কোন অসুবিধা নেই।’

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো কর্পোরেশন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১১এপ্রিল,২০২০)