দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: বলিউডের সবচেয়ে আলোচিত সেলিব্রেটিদের একজন সংগীতশিল্পী নেহা কাক্কার। বলিউড ছবির সঙ্গে যুক্ত যারা, তাদের প্রায় সবাই এই কথাটি জানেন। কিন্তু সাধারণ দর্শক এই সম্পর্কে খুব একটা অবগত নন। তার সম্পর্কে আপডেট জানতে ওয়েবসাইট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপেক্ষায় থাকেন তার ভক্তরা।

‘গরমি’, ‘আঁখ মারে’, ‘ও সাকি’, ‘দিলবর’– একের পর এক বলিউডি হিট গান রয়েছে তার কণ্ঠে। দেশের অন্যতম হার্টথ্রব তিনি। সেই নেহা কক্কর সম্প্রতি মুখ খুলেছেন বলিউড মিউজিকের অভ্যন্তরের কিছু কথা নিয়ে। নেহা সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন যে বলিউড ছবিতে গান গাওয়ার জন্য গায়ক-গায়িকারা খুব একটা পারিশ্রমিকের মুখ দেখতে পান না।

নেহার এই সাম্প্রতিক মন্তব্যে রীতিমতো চাঞ্চল্য পড়ে গিয়েছে। সংবাদসংস্থা আইএএনএস-কে গায়িকা সম্প্রতি বলেন, ‘আমরা বলিউডের ছবির গান গাওয়ার জন্য কোনও পারিশ্রমিক পাই না। এমন একটা ধারণা কাজ করে যে গান সুপারহিট হলে গায়ক-গায়িকারা শো করেই প্রচুর টাকা আয় করে নেবেন। আমি লাইভ কনসার্ট করে বা অন্যান্য শো করে ভাল টাকাই আয় করতে পারি কিন্তু বলিউড থেকে কিছু পাওয়ার আশা নেই। আমাদের দিয়ে গান গাওয়াতে প্রায় কোনও খরচই করতে হয় না বলিউডকে।’

বলিউড ছবির সঙ্গে যুক্ত যারা, তাদের প্রায় সবাই এই কথাটি জানেন। কিন্তু সাধারণ দর্শক এই সম্পর্কে খুব একটা অবগত নন। সম্ভবত এই বিষয়ে সাম্প্রতিক সময়ে নেহাই প্রথম মুখ খুললেন। তবে আরও একটি বিষয় এখানে বলে রাখা প্রয়োজন। যারা ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকে কণ্ঠ দেন, তাঁদের ক্ষেত্রে কিন্তু ব্যাপারটা এমন নয়। তারা কিন্তু পারিশ্রমিক পেয়ে থাকেন। কে কতটা ভাল কাজ করেন এবং কার কত দিনের অভিজ্ঞতা, তার উপর নির্ভর করে তিনি কত টাকা পারিশ্রমিক পাবেন।

আবার নেহার এই বক্তব্যটি খাটে না সেই সব গায়ক-গায়িকাদের ক্ষেত্রে, যারা আবার সঙ্গীত পরিচালনাও করে থাকেন। সেক্ষেত্রে তারা একটি প্যাকেজে কাজ করেন, অর্থাৎ ছবির সঙ্গীত পরিচালনার পাশাপাশি হয়তো তার নিজের কণ্ঠেও একটি গান থাকল ছবিতে এবং সব মিলিয়েই তিনি তার পারিশ্রমিক দাবি করেন। যেমন অমিত ত্রিবেদী যে ছবির সঙ্গীত পরিচালনা করবেন, সেই ছবিতে তারও একটি গান থাকবে স্বাভাবিকভাবেই। আলাদা করে সেই গানটির জন্য পারিশ্রমিক না নিলেও সামগ্রিকভাবে সঙ্গীত পরিচালনার জন্য তাকে পারিশ্রমিক দেওয়া হবে।

নেহা যে কথাটি বলেছেন, সেটা সামগ্রিকভাবে সত্যি হলেও কয়েকজন হাতে-গোনা গায়ক-গায়িকা রয়েছেন, যারা কিন্তু পারিশ্রমিক ছাড়া কাজ করেন না এবং তারা বলিউডের হায়েস্ট-পেড কণ্ঠশিল্পী। তবে এটা ঠিক যে শুধুমাত্র উঠতি শিল্পীরা নন, প্রতিষ্ঠিত শিল্পীদেরও বেশিরভাগ বলিউডের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির এই অলিখিত নিয়ম মেনে নিয়েই চলতে হয়।

লাইভ কনসার্ট, লাইভ শো করে রোজগার যে খারাপ হয় না, সে কথা অকপটেই শেয়ার করে নিয়েছেন নেহা। কিন্তু এত কম পারিশ্রমিকে কাজ করিয়ে নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে কিছুটা ক্ষুব্ধও তিনি।

নিউ-এজ বলিপাড়ায় ব্যস্ততম গায়িকাদের মধ্যে নেহার নাম প্রথম সারিতে। ইন্ডিয়ান আইডলে প্রতিযোগী হিসেবে অংশ নিয়ে আজ তিনি সেই শো-রই বিচারক।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১১এপ্রিল,২০২০)