ভারতে করোনা আক্রান্ত ২ লাখ ছাড়াত
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: ভারতে গত আঠারো দিন ধরে চলছে লকডাউন। এর মধ্যেই শনিবার গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে নতুন করে নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১০৩৫ জন। আর ওই চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই মারা গিয়েছেন ৪০ জন। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪২-এ। এই হিসেব দিয়েও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দাবি, দেশের পরিস্থিতি মন্দের ভাল।
তবে শনিবার বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখার সময়ে তখন থেকে ২৪ ঘণ্টা আগেকার হিসেব দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ক। শনিবার রাতে মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট বলছে, দেশে করোনা আক্রান্তের মোট সংখ্যা ৭৫২৯। সুস্থ হয়েছেন ৬৫২ জন।
তাদের দাবি, দেশের কোথাও লকডাউন না-হলে শনিবার (১১ এপ্রিল)পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হত প্রায় ২.০৮ লাখ। মন্ত্রণালয়ের করা এই সমীক্ষা অনুযায়ী, আক্রান্তের সংখ্যাটি ১৫ এপ্রিলে গিয়ে দাঁড়াত প্রায় ৮.২ লাখে।
লকডাউনের সাফল্যকে এমন একটি দিনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ক দেশবাসীর কাছে তুলে ধরল, যে দিন ভিডিয়ো কনফারেন্সে এর মেয়াদ আরও দু'সপ্তাহ বাড়ানো নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সহমত হলেন বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা।
প্রধানমন্ত্রী ২১ দিনের লকডাউনের ঘোষণার আগেই তা থেকে কোনও লাভ হবে কি না, সে বিষয়ে মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে একটি সমীক্ষা করেছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে ২.০৮ লাখ ও ৮.২ লাখের পরিসংখ্যান দিয়ে মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল বলেন, ‘লকডাউন না-হলে এ দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪১ শতাংশ বেড়ে যেত। একই ভাবে সারা দেশে লকডাউন না-করে যদি শুধুমাত্র 'হটস্পট'-গুলিকেই গণ্ডিতে বেঁধে রাখা হত, তা হলেও আজকের তারিখ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা হত ৪৫ হাজার ৩৭০। ১৫ এপ্রিলে যা বেড়ে হত ১.২ লক্ষ। সে ক্ষেত্রে রোগী বাড়ত ২৮.৯ শতাংশ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করার কারণেই করোনা পরিস্থিতি অনেকাংশেই সামলানো গিয়েছে বলে দাবি ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের।
সূত্র: আনন্দবাজার
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১২এপ্রিল,২০২০)