লকডাউন ব্যর্থতায় তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: লকডাউন ব্যর্থতার দায় নিজের কাঁধে নিয়ে পদত্যাগ করেছেন তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলায়মান সয়লু। রোববার মধ্যরাতে ৪৮ ঘণ্টার লকডাউন শেষ হওয়ার ২ ঘণ্টার মাথায় তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি আস্তে আস্তে ভয়াবহ হচ্ছে তুরস্কে। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে রাজধানী আঙ্কারা ও ইস্তানবুলসহ ৩১টি বড় বড় শহরে শুক্রবার হুট করে ৪৮ ঘণ্টার লকডাউন ঘোষণা করে তুরস্ক। লকডাউন শুরু হওয়ার মাত্র ২ ঘণ্টা আগে এমন ঘোষণা দেওয়ায় মানুষের মধ্যে হট্টোগোল শুরু হয়।
নিত্যপ্রয়োজনীয় ও অন্যান্য জিনিসপত্র কিনতে দিগদ্বিক ছোটাছুটি শুরু করে। আর এসব করতে গিয়ে করোনার সংক্রমণ রুখতে যে নিরাপদ দূরত্ব সেটা কোনোভাবেই মানা হয়নি। তাতে লকডাউনের যে প্রকৃত লক্ষ্য সেটা নিদারুণভাবে ব্যর্থ হয়।
এই ঘটনার পর বিরোধী দলের কঠোর সমালোচনার শিকার হয় তুরস্কের সরকার। হঠাৎ লকডাউন ঘোষণা করে হাজার হাজার মানুষকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ওঠে সরকারের সমালোচনার ঝড়।
তাই রোববার মধ্যরাতে ৪৮ ঘণ্টার লকডাউন শেষ হওয়ার দুই ঘণ্টা পরই পদত্যাগ ঘোষণা করেন তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলায়মান সয়লু। পদত্যাগ পত্রে তিনি লিখেন, ‘আমার দেশ, যেটাকে আমি কখনোই আহত করতে চাইনি এবং আমাদের প্রেসিডেন্ট, যার প্রতি আমি আজীবন বিশ্বস্ত থাকতে চাই, আমাকে ক্ষমা করবেন।’
সমালোচনার মুখে সায়লু শুক্রবার বলেছিলেন লকডাউন প্রেসিডেন্ট রেসেপ তাইয়েপ এরদোগানের নির্দেশনা অনুযায়ীই ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু রোববার ক্ষমতাশালী এই মন্ত্রী সবকিছুর দায়ভার নিজের কাঁধে নিয়ে সরে দাঁড়ান পদ থেকে।
অবশ্য বাংলাদেশ সময় ভোর রাতে জানা যায় সায়লুর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেননি তুরস্কের রাষ্ট্রপতি। তিনি পত্রটি প্রত্যাখান করেছেন। পাশাপাশি সায়লুর প্রশংসা করেছেন নানা সময়ে তার সাহসিকতা ও যথাযথ সিদ্ধান্তের জন্য।
রোববার করোনা আক্রান্ত হয়ে তুরস্কে ৯৭ জন মারা গেছে। তাতে দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ১৯৮। আক্রান্তের হার ৯.২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে নতুন আক্রান্ত হয়েছে ৪ হাজার ৭৮৯ জন। তাতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৬ হাজার ৯৫৬ জনে।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৩এপ্রিল,২০২০)